মঙ্গলবার প্রাথমিকে নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা (Teachers Protest)। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি, টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা—সব মিলিয়ে উত্তাল ছিল শহর। আর সেই আঁচ এখনও ঠান্ডা হয়নি, বুধবার ফের বিকাশ ভবনের দিকে রাস্তায় নামলেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা (Teachers Protest)।
এই দিন পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষাবন্ধু, স্পেশাল এডুকেটর, এমএসকে, এসএসকে কর্মীরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অভিযানে সামিল হন (Teachers Protest)। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৮ সালের পর থেকে গত ৭ বছর ধরে এক টাকাও বেতন বাড়েনি সর্বশিক্ষা মিশনের আওতায় কর্মরতদের (Teachers Protest)।
বর্তমানে প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন মাত্র ১০ হাজার টাকা, উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার টাকা, আর শিক্ষাবন্ধু পান ৮ হাজার টাকা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, এই টাকায় সংসার চালানো কার্যত অসম্ভব।
এক এমএসসি পাশ শিক্ষিকা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “এখন হাতে পাই মাত্র ১৩ হাজার ১৩৯ টাকা। এত কম টাকায় কি সংসার চলে? মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন বেতন বাড়াবেন, কিন্তু এখনও হয়নি। তাই আবেদন করছি দ্রুত ব্যবস্থা নিন।”
আরেক শিক্ষিকা আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “আমরা তো ভদ্রভাবে স্কুলে যাই, কাজ করি। কিন্তু সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে।” অন্য এক পার্শ্বশিক্ষিকার হাহাকার— “আমরা এখন জনমজুরের থেকেও কম বেতনে কাজ করছি। এই টাকায় আর চলে না।” শিক্ষকদের একটাই দাবি— রাজ্য সরকার যেন দ্রুত বেতন বৃদ্ধি কার্যকর করে। না হলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মীরা।