অসমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। দেশের দুই নামী সাংবাদিক (Journalists) সিদ্ধার্থ বরদরাজন ও করণ থাপার-এর বিরুদ্ধে হঠাৎই দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁদের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে গুয়াহাটি পুলিশ এবং জানানো হয়েছে, ২২শে আগস্টের মধ্যে তাঁদের হাজিরা দিতে হবে ক্রাইম ব্রাঞ্চে। হাজিরা না দিলে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু বড় প্রশ্ন হল—কোন অপরাধে এই অভিযোগ? সমনে কোথাও স্পষ্টভাবে লেখা হয়নি কোন ঘটনার তদন্ত চলছে বা ঠিক কী কারণে তাঁদের ন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শুধু বলা হয়েছে, “আপনাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে এবং তদন্তের জন্য আপনাদের প্রশ্ন করা হবে (Journalists)।” কিন্তু অভিযোগের খুঁটিনাটি কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ কর্তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ছয়টি ধারা ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫২ ধারা, যা দেশদ্রোহের অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তি খুবই কঠোর হতে পারে।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও দেশদ্রোহের মামলা হয়েছিল অসমেই। এবার সেই একই ধারায় দুই বর্ষীয়ান সাংবাদিককে (Journalists) নোটিস পাঠানোয় রাজনৈতিক মহল ও সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের প্রশ্ন—এটি কি সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা? নাকি এর পেছনে অন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে?