মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার নামে এনআরসি-র জন্য ফর্ম ফিল আপ করানো হচ্ছে। তিনি (Mamata Banerjee) সাবধান করে বলেন, কেউ যেন এই ফর্ম না ভরেন। তাঁর আশঙ্কা, এতে মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে। বাংলা যখন বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন (এসআইআর)-এর অপেক্ষায় রয়েছে, তখন তাঁর এই মন্তব্য বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই কল্যাণী এইমস (AIIMS) একটি সরকারি বিবৃতি জারি করে। সেখানে বলা হয়, মানসিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার বিষয়টি আসলে সম্পূর্ণ আলাদা।
এইমসের (Mamata Banerjee) ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এটি আসলে ন্যাশনাল মেন্টাল হেলথ সার্ভে-এর দ্বিতীয় ধাপ। এই কাজটি করা হচ্ছে বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান নিমহানস (NIMHANS)-এর সঙ্গে যৌথভাবে। পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় এই সমীক্ষা চলছে।
আরও জানানো হয়েছে, সমীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও নিমহানসের অনুমোদনে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নয়, ধাপে ধাপে সারা দেশেই এই সমীক্ষা করা হচ্ছে।
অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রী যদিও এনআরসি-র আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কল্যাণী এইমস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এর সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই।