বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন (SIR) ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner)। একের পর এক অভিযোগের জবাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি স্পষ্ট বলেন, কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে রাজনীতি করার চেষ্টা চলছে।
নির্বাচন কমিশনের Chief Election Commissioner) দাবি, তারা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে এবং সংবিধান মান্য করেই কাজ করছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য, “নির্বাচন কমিশন নিজের সংবিধানিক দায়িত্ব থেকে কখনও পিছু হটবে না। আমরা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছি। কারও পক্ষপাত করি না, কারও বিরোধীও নই।”
তিনি Chief Election Commissioner) আরও মনে করিয়ে দেন, সব রাজনৈতিক দলই কমিশনের রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমেই বৈধতা পায়। তাই কমিশনের পক্ষে ভেদাভেদ করার প্রশ্নই ওঠে না। ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই সব দলের পক্ষ থেকে আসছিল। সেই দাবি মেনে শুরু হয়েছে বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন। প্রথমে কাজ শুরু হয় বিহার থেকে।
কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এই প্রক্রিয়ায় বুথ লেভেল অফিসার, রাজনৈতিক দলের পাঠানো এজেন্ট এবং ভোটারদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এখন পর্যন্ত ২৮,৩৭০টি দাবি ও আপত্তি জমা পড়েছে। কমিশনের মতে, নিচুতলার কর্মীদের দেওয়া তথ্য হয়তো ওপরের নেতৃত্বের কাছে ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে না, কিংবা ইচ্ছে করেই ভুল ধারণা ছড়ানো হচ্ছে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। অথচ দেখা যাচ্ছে কিছু ভোটারের ছবি তাঁদের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্যে আনা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগও তোলা হয়েছে। এটা একেবারেই ঠিক নয়।
তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ১ কোটির বেশি কর্মী, ১০ লক্ষ বুথ লেভেল এজেন্ট এবং ২০ লক্ষের বেশি পোলিং এজেন্ট কাজ করেন। এত বড় প্রক্রিয়ায় ভোট চুরি করা সম্ভব নয়। তবুও ভোট চুরির অভিযোগ তোলা হয়েছে, অথচ কোনও প্রমাণ দেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, এই ধরনের ভুয়ো অভিযোগে কমিশন ভয় পায় না।