পাকিস্তানের সেনাপ্রধান (Pakistan Army Chief) ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির দেশের ভাঙা অর্থনীতি ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে এক নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের মাটির নিচে লুকিয়ে আছে এক বিশাল “রেয়ার আর্থ ট্রেজার” বা দুর্লভ খনিজ ভান্ডার। এই সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে দেশের ঋণ কমবে এবং পাকিস্তানকে বিশ্বের সমৃদ্ধ দেশগুলির তালিকায় তোলা সম্ভব হবে।
এই মন্তব্য তিনি (Pakistan Army Chief) ব্যক্তিগতভাবে ব্রাসেলস সফরের সময় সাংবাদিক সুহেল ওয়াররাইচকে জানান। পরে পাকিস্তানের জিও গ্রুপে প্রকাশিত এক কলামে সেই বক্তব্য উদ্ধৃত করে লেখা হয়। মুনির (Pakistan Army Chief) মনে করেন, বিশেষ করে রেকো ডিক খনি প্রকল্প চালু হলে পাকিস্তানের অর্থভাণ্ডার শক্তিশালী হবে।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের এই খনিজ সম্পদের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে। কারণ ইলেকট্রনিক্স ও প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য এসব খনিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা চীনের ওপর নির্ভরশীল ছিল, কিন্তু বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতায় তারা সেই নির্ভরতা কাটাতে চাইছে। তাই পাকিস্তানের মতো দেশে তাদের ঝোঁক বাড়ছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েনের পর পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছেন তিনি। ভারতের রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা এবং অপারেশন সিঁদুরের পর যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব স্বীকার না করায় ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হন। এর পরই তিনি ইসলামাবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্পের পাকিস্তানের প্রতি নতুন আগ্রহ মূলত তেল নয়, বরং খনিজ সম্পদ ও রেয়ার আর্থস ঘিরেই। ইতিমধ্যে আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রথম তেলের চালানও এসে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের তেল ক্ষেত্র উন্নয়ন এবং সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার পরিকল্পনাও করছে।
এই সময়ে আবার যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে, আর পাকিস্তানের খনিজ ভান্ডারকে ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন কূটনৈতিক খেলা।