ভারত–আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (BTA) নিয়ে চলমান আলোচনার পরবর্তী ধাপ আপাতত পিছিয়ে যেতে পারে (Trade Deal)। আগস্টের ২৫ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ষষ্ঠ দফা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, আমেরিকার প্রতিনিধিদল এই মাসে দিল্লি আসার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত (Trade Deal)করছে।
এই স্থগিতাদেশ এমন এক সময়ে আসছে যখন আমেরিকা ভারতের ওপর নতুন বাণিজ্য (Trade Deal) শাস্তি জারি করেছে। ৭ই আগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তার পাশাপাশি ২৭শে আগস্ট থেকে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে, যা মূলত রাশিয়া থেকে ভারতীয় অপরিশোধিত তেল এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য শাস্তিস্বরূপ আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ, মিলিয়ে ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক বসবে।
এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ভারত কৃষি ও দুগ্ধ খাতের মতো রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর বাজার খুলে দিক। কিন্তু ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কৃষক, গবাদি পশুপালক এবং মৎস্যজীবীদের জীবিকা নিয়ে কোনো আপস করা হবে না Trade Deal)।
তবুও সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ক্রমশ বাড়ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, এপ্রিল থেকে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত আমেরিকায় ভারতের রপ্তানি ২১.৬৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। একই সময়ে আমেরিকা থেকে আমদানিও বেড়েছে ১২.৩৩ শতাংশ, যা দাঁড়িয়েছে ১৭.৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এই সময়ে আমেরিকা ছিল ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার, যেখানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে ১২.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দিল্লি এবং ওয়াশিংটন উভয়েই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এই চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন করা হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় রপ্তানি পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে দেশবাসীকে ‘স্বদেশি’ (মেড ইন ইন্ডিয়া) পণ্যের দিকে ঝুঁকতে আহ্বান জানান।
মোদি বলেন, “ভারতের কৃষক, জেলে এবং গবাদি পশুপালকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো ক্ষতিকর নীতি আমরা মানতে পারি না। তাদের নিয়ে কোনো আপস কখনোই করা হবে না। আমি দেওয়ালের মতো দাঁড়িয়ে থাকব তাদের পাশে।”