পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে তিনি কোনও ব্যবস্থা নিতে দেবেন না। কিন্তু বুধবার দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)—রাজ্যের চার অফিসার ও এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। রাজ্যকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ (Election Commission), বারুইপুর পূর্ব ও ময়না কেন্দ্রের দুই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) এবং দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (AERO) তাঁদের সরকারি আইডি শেয়ার করেছিলেন অস্থায়ী কর্মী সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের সঙ্গে। এই আইডি ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় (Election Commission) ভুয়ো নাম তোলার অভিযোগ উঠেছে। কমিশন আগেই জানিয়েছিল, এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর ও সাসপেনশন—দুটোই করতে হবে।
এই অভিযোগে জড়িতরা হলেন—বারুইপুর পূর্বের ইআরও দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী, ওই কেন্দ্রের এএইআরও তথাগত মণ্ডল, ময়নাতে ইআরও বিপ্লব সরকার, ওই কেন্দ্রের এএইআরও সুদীপ্ত দাস এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদার।
গত সোমবার রাজ্যের পক্ষ থেকে কমিশনকে (Election Commission) জানানো হয়, শুধু এএইআরও সুদীপ্ত দাস ও সুরজিৎ হালদারকে কমিশনের কাজ থেকে সরানো হয়েছে। কিন্তু কাউকে সাসপেন্ড বা এফআইআর করা হয়নি। রাজ্যের যুক্তি—এই অফিসারদের ওপর কাজের চাপ খুব বেশি, তাই তাঁরা কর্মীদের সঙ্গে আইডি শেয়ার করেন।
বুধবার দিল্লিতে মুখ্যসচিবকে ডেকে কমিশন জানতে চায় কেন তাদের দেওয়া নির্দেশ কার্যকর হয়নি। ফুল বেঞ্চের বৈঠকে মনোজ পন্থকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হয় যে, চার অফিসারের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ রাজ্য সরকার নিয়েছে। বৈঠকে আইনি ক্ষমতা (একতিয়ার) নিয়েও আলোচনা হয়। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এসআইআর (SIR) প্রতিটি রাজ্যে কার্যকর করা হবে এবং তারা আইনসিদ্ধ ক্ষমতার মধ্যে থেকেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রসঙ্গত, নির্বাচন বিধি চালু হওয়ার আগে সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।