ফিটনেসের জন্য ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও সময় বের করে জিমের পথে পা বাড়ান অনেকে। বিশেষ করে পুজোর আগে তরুণ তরুণীরা সক্রিয় হয়ে ওঠেন শরীরচর্চায় (Heart Attack)। শারীরিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু খবর আশঙ্কা জাগানোও বটে। সাম্প্রতিক সময়ে জিমে ওয়ার্কআউটের সময় হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঘটনা কিছু ক্ষেত্রে নজরে এসেছে, যা অনেকের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। হার্টের দুর্বলতা কিংবা ব্লাড প্রেসারে কোনো সমস্যা থাকলে ভারী বা ভুলভাবে ব্যায়াম করা বিপজ্জনক হতে পারে। তাই শরীরচর্চার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করানো জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩০ বছর বয়সের উপরে যারা নিয়মিত জিম বা ব্যায়াম শুরু করতে চান, তাদের জন্য ছয়টি পরীক্ষা করানো আবশ্যক (Heart Attack)। প্রথমত, ECG পরীক্ষা হার্টের সমস্যার প্রাথমিক ইঙ্গিত দেয়। হার্টে কোনো ঝুঁকি থাকলে ইসিজি রিপোর্ট থেকে তা জানা যায় এবং যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়। দ্বিতীয়ত, 2D Echo নামক আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা হার্টের গঠন ও কার্যকারিতা বুঝতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে হার্টের যেকোনো অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে। তৃতীয়ত, TMT বা ট্রেডমিল টেস্ট করা হয়, যা শারীরিক চাপের সময় হার্টের কর্মক্ষমতা ও রক্তসঞ্চালন পর্যবেক্ষণ করে। এই পরীক্ষায় হার্টের অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় (Heart Attack)।
এছাড়া Troponin এবং NT-ProBNP রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কার্ডিয়াক স্ট্রেন বা হার্ট ইনজুরির প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়ে, যা অনেক সময় উপসর্গহীন থাকায় সাধারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে না। hs-CRP ও ESR পরীক্ষায় হার্টের ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহের মাত্রা বোঝা যায়, যা কার্ডিওভাসকুলার রোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এছাড়া, লিপিড প্রোফাইল ও HbA1c পরীক্ষার মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগারের মাত্রা নিরীক্ষণ করা হয়, যা হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে (Heart Attack)।
তবে এই তথ্যগুলো শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। শরীরচর্চা করার আগে অথবা কোনো শারীরিক সমস্যা অনুভব করলে অবশ্যই কার্ডিওলজিস্টসহ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ভুল চিকিৎসা বা অবহেলা বিপজ্জনক হতে পারে।