রাজ্যের রাজপথে শনিবার বিকেলে রীতিমতো উত্তাল পরিস্থিতি। নবান্ন অভিযান ঘিরে শুরু থেকেই উত্তেজনা চরমে ওঠে, আর তার কেন্দ্রে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিলোত্তমার মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি পৌঁছন শহরের ব্যস্ততম ডোরিনা ক্রসিংয়ে। কিন্তু সেখানেই শুরু হয় পুলিশের বাধা। প্রতি পদে আটকানোর চেষ্টা চলতে থাকে, যেন এক অদৃশ্য লুকোচুরির খেলা চলছে পুলিশ ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে। পুলিশের চোখ এড়াতে অন্য রাস্তায় অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পার্ক স্ট্রিটেই পথরুদ্ধ হয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর সেখানেই তিনি অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন, সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন।
এদিকে, নবান্ন অভিযান ঠেকাতে প্রশাসন আগে থেকেই ত্রি-স্তরীয় ব্যারিকেড বসিয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনকারীরা রণক্ষেত্রের যোদ্ধার মতো একের পর এক ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিজেও ব্যারিকেড ভাঙতে উদ্যোগী হন। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সংঘর্ষের মাঝে আহত হন এক মহিলা, যা আরও উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় জনতার মধ্যে।
পার্ক স্ট্রিটের মুখে এসে পুলিশের অবরোধে কার্যত থমকে যায় মিছিল। গার্ডরেল ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জে নামে। আটক করা হয় বহু আন্দোলনকারীকে। উত্তেজনার মুহূর্তে এমনকি পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ধরা পড়ে।
তবুও থেমে থাকেননি আন্দোলনকারীরা। কেউ গার্ডরেল বেয়ে উঠে যাচ্ছেন, কেউ বা গার্ডরেলে ধাক্কা মেরে উঁচু ব্যারিকেড ভাঙার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। রাজপথে এদিনের দৃশ্য যেন রাজনৈতিক লড়াইয়ের এক অগ্নিগর্ভ অধ্যায়, যেখানে একপাশে ছিল সরকারের শক্তি, আর অন্যপাশে ছিল ন্যায়বিচারের দাবি নিয়ে রণপথে নামা মানুষদের দৃঢ় সংকল্প।
আপনি চাইলে আমি এই কপির জন্য ৫-৬টি অত্যন্ত ভাইরাল ফেসবুক হেডলাইনও বানিয়ে দিতে পারি, যেগুলো পড়ে ক্লিক না করে থাকা কঠিন হবে।