নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) ঘিরে রাজপথে দেখা গেল তীব্র উত্তেজনা ও ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। সকাল থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পথে নামেন তিলোত্তমার মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে। ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছনোর পর থেকেই প্রতি পদে বাধার মুখে পড়েন তিনি। পুলিশের তরফে বিজেপি নেতৃত্বকে আটকানোর মরিয়া চেষ্টা চলতে থাকে। একসময় পুলিশি নজর এড়িয়ে অন্য রাস্তা ধরে এগোতে থাকেন (Nabanna Abhijan) শুভেন্দু, তবে শেষ পর্যন্ত পার্ক স্ট্রিটে এসে বাধা পেয়ে সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন।
নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) গতিপথ রুখতে প্রশাসনের তরফে আগে থেকেই ত্রি-স্তরীয় ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা সেই ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান। শুভেন্দু অধিকারীও ব্যারিকেড ভেঙে সামনে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মধ্যে এক পর্যায়ে তীব্র ধস্তাধস্তি শুরু হয়, সংঘর্ষে আহত হন এক মহিলা। কার্যত পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের (Nabanna Abhijan) লুকোচুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পার্ক স্ট্রিটের মুখে পুলিশ আন্দোলনকারীদের পথ আটকে দেয়। গার্ডরেল ভেঙে এগোনোর চেষ্টা চালানো হলে বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। একাধিক আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন পুলিশের উপর শারীরিক হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। আন্দোলনকারীরা কেউ গার্ডরেল বেয়ে উঠতে থাকেন, কেউ আবার গার্ডরেল ধাক্কা মেরে উঁচু ব্যারিকেড ভাঙার মরিয়া চেষ্টা করেন, ফলে গোটা এলাকায় টানটান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।