নবান্ন অভিযান (Nabanna abhijan) ঘিরে শনিবার দুপুরে সাঁতরাগাচি পরিণত হল বিস্ফোরক সংঘর্ষের ময়দানে। সকাল থেকেই পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে ঢেকে ফেলা হয়েছিল নবান্নমুখী (Nabanna abhijan) সমস্ত রাস্তাঘাট। দুই মানুষ সমান উচ্চতার বিশাল লোহার ব্যারিকেডে ঘিরে ফেলা হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলি। কিন্তু দুপুর গড়াতেই উত্তেজনার পারদ ছুঁতে শুরু করে চূড়ান্ত সীমা।
সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেডের মুখে পৌঁছে আন্দোলনকারীরা কোনওভাবেই পিছু হটেননি। পুলিশি ঘেরাটোপ উপেক্ষা করে উঁচু উঁচু ব্যারিকেডে চড়ে বসেন তারা (Nabanna Abhijan)। মুহূর্তের মধ্যে ধাতব তালা ভেঙে দেওয়া হয়। স্লোগানে কেঁপে ওঠে এলাকা—“উই ওয়ান্ট জাস্টিস”, “জাস্টিস ফর আরজি কর”। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এক বছর আগে যদি পুলিশ এভাবেই ব্যারিকেড দিত, তবে আরজি কর কাণ্ডে তিলোত্তমার জীবন হয়তো রক্ষা পেত।
পুলিশের তরফে লাগাতার মাইকিং করে বিক্ষোভকারীদের সংযত থাকতে বলা হলেও কোনও নির্দেশেই দমে যায়নি ভিড় । তারা ব্যারিকেড ভাঙা ও টপকানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। পুলিশের মাইকের আওয়াজ ডুবিয়ে দিচ্ছিল ন্যায়বিচারের দাবিতে ওঠা গর্জন। পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, আর এই লড়াই থামার কোনও লক্ষণ নেই।