রাত পোহালেই তিলোত্তমা ধর্ষণ-কাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবিতে নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি চলছে। যদিও কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন তাদের কাছে নবান্ন অভিযানের জন্য লিখিত বা মেইল আকারে আবেদন করেনি (RG Kar)। তারপরও পুলিশের তরফ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, তারা এই অভিযান আটকাতে পুরোপুরি প্রস্তুত। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট (WBJDF) শুক্রবার রাত ৯টায় কলেজ স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মশাল মিছিলের ডাক দিয়েছে (RG Kar)। মিছিল ভোর চারটে পর্যন্ত চলবে এবং শ্যামবাজারে অবস্থান করবে তারা। শনিবার রাখি বন্ধন কর্মসূচিও অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি শুক্রবার রাতে শ্যামবাজার থেকে একাধিক কর্মসূচিরও কথা রয়েছে (RG Kar)।
গত বছর ১৪ আগস্ট রিজিকোর চিকিৎসক তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুনের পর প্রথম বড় নাগরিক প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল (RG Kar)। বছর ঘুরে গেলেও এখনও তিলোত্তমার পরিবার দ্রুত বিচার পায়নি। ৯ অগাস্ট এই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দলের পতাকা না নিয়ে সরাসরি অভিযানে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট আগেই জানিয়েছে, রাজনৈতিক নেতারা থাকায় তারা মিছিলে অংশ নেবেন না। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তিলোত্তমার বাবা-মা নেতৃত্ব দেবেন, আমরা তাদের পাশে থাকব। যেভাবে তারা চাইবেন, তেমনি কাজ করা হবে।”
বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এ প্রতিবাদকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক রংমাখামুক্ত রাখার জোর দিয়েছেন এবং বলেছেন, “আমাদের (RG Kar) সমস্ত কর্মীরা এই প্রতিবাদে অংশ নেবে।” যদিও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ‘একটি আগ্রাসী এজেন্ডা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি এই আন্দোলন পরিচালনা করছে, এতে কোনও লাভ নেই। সরকার ইতিমধ্যে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।”