আরজি কর (RG Kar) মর্মান্তিক ঘটনায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও উত্তাপ কমেনি রাজ্য রাজনীতিতে। শুক্রবার রাত পেরুতেই শুরু হয়েছে নতুন দফা উত্তেজনা। শনিবারের দিন পরপরই দুইটি অভিযান অনুষ্ঠিত হবে — একদিক থেকে সবার নজর থাকবে রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ভবন নবান্নের দিকে, আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি কালীঘাটে। কিন্তু এই দুই অভিযান সংক্রান্ত কোনও অফিসিয়াল আবেদন বা মেইল পুলিশকে লেখা হয়নি বলে জানিয়েছেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। শুক্রবার তিনি একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “আমরা মূলত সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যম থেকে খবর পেয়ে (RG Kar) ব্যবস্থা নিয়েছি। গত বছর যারা অভিযান চালিয়েছিল, তাদের সংগঠনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে (RG Kar) । কিন্তু তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, এবারের অভিযানের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।”
এরপর এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার হাইকোর্টের রায়ের উল্লেখ করেন এবং বলেন, “নবান্ন অভিযান সম্পর্কে হাইকোর্ট বলেছে, প্রতিবাদ করা মৌলিক অধিকার (RG Kar)। কিন্তু সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা এবং হিংসা বেআইনি। এই ধরনের হিংসা থেকে বিরত থাকা এবং সম্পত্তি রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছে, যদি প্রতিবাদ করতে হয়, তা অবশ্যই আইন মেনে শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। প্রয়োজনে রাজ্য প্রশাসন বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।”
এই সিদ্ধান্ত ও ঘটনাগুলো নিয়ে রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে, কারা আসলেই নবান্ন-কলকাতা অভিযানগুলো পেছনে, তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে।