ভারতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্যিক নীতির তীব্র বৈপরীত্য (Tariff War) তুলে ধরলেন ব্রাজিলিয়ান কফিকে ঘিরে। সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দুটি ছবির কোলাজ শেয়ার করে তিনি লেখেন— “ট্যারিফ (Tariff War) বনাম উন্মুক্ততা”। প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আগামী ৬ আগস্ট ২০২৫ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিল থেকে আমদানি করা কফির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে (Tariff War) । অন্যদিকে, দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যায়, চীন ইতিমধ্যেই ১৮৩টি নতুন ব্রাজিলিয়ান কফি কোম্পানিকে তাদের বাজারে রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে, যা কার্যকর হয়েছে ৩০ জুলাই ২০২৫ থেকে।
এই দুটি পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্পূর্ণ বিপরীত মনোভাবের প্রতিচ্ছবি—ওয়াশিংটন যেখানে আমদানির (Tariff War) খরচ বাড়াচ্ছে, বেইজিং সেখানে বাজারে প্রবেশের সুযোগ বাড়াচ্ছে। চীনের এই অনুমোদন পাঁচ বছরের জন্য কার্যকর থাকবে। চীনের ব্রাজিল দূতাবাসও জানিয়েছে, চীনে কফি এখন ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং এটি চীনা জনগণের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বড় কফি আমদানিকারক দেশ (Tariff War) । এর প্রধান সরবরাহকারী ব্রাজিল, যা সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী মার্কিন বাজারে সরবরাহ করা মোট ১৫ লাখ মেট্রিক টন কফির প্রায় ৩০.৭ শতাংশের যোগান দেয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ব্রাজিল থেকে আসা বহু পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর (Tariff War) করেছে, যা গত বুধবার থেকে চালু হয়েছে। ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশে অভিযোগ করা হয়েছে, ব্রাজিল সরকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র জাইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অপরাধ’ করছে, কারণ তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের মামলার বিচার চলছে। বলসোনারো অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ট্যারিফ ঘোষণার কয়েক দিন আগে ট্রাম্প সরাসরি চিঠি দিয়ে ব্রাজিলকে বলেছিলেন, এই বিচার অবিলম্বে বন্ধ করতে, এবং লুলাকে অভিযুক্ত করেছিলেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নামে ‘ডাইনি শিকার’ চালানোর জন্য।