উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) উত্তরকাশীর ধারালি ও তার আশপাশে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভয়াবহ আকস্মিক বন্যার পরেও এখনও নিখোঁজদের খোঁজে চলছে তীব্র তল্লাশি অভিযান। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০০ মানুষকে বিপদসংকুল এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হলেও বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে।
গড়ওয়াল ডিভিশনের (Uttarakhand) কমিশনার বিনয় শঙ্কর পাণ্ডে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, মোট ৩৮২ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা তিনটি দিক থেকে চালানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “গতকাল আমরা প্রায় ৩৮২ জনকে সরিয়ে এনেছি (Uttarakhand)। একদিকে আমরা গঙ্গোত্রীতে আটকে পড়া তীর্থযাত্রীদের উদ্ধার করছি, যারা মূলত রাজ্যের বাইরের বাসিন্দা। পাশাপাশি রাস্তা পরিষ্কার করে যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের কাজ চলছে। তৃতীয়ত, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিখোঁজদের খোঁজ চালানো হচ্ছে, বিশেষ করে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ধারালি গ্রামে।”
তিনি আরও জানান, সরকারি ও বেসরকারি (Uttarakhand) সম্পত্তির ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করার কাজও চলছে। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেই উদ্ধারকারী বাহিনী চীনুক ও মি সিরিজের হেলিকপ্টার মোতায়েনের চেষ্টা করছে, যা বিশেষ চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী (Uttarakhand) পুষ্কর সিং ধামি স্বয়ং উত্তরকাশীতে থেকে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করছেন। বৃহস্পতিবার তিনি দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। এক্স-এ দেওয়া পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা দেখাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, উদ্ধার তৎপরতা দ্রুত গতিতে চলছে।
উচ্চপাহাড়ি অঞ্চলে প্রবল বর্ষণ ও মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে উত্তরাখণ্ডে একের পর এক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। বৃহৎ পরিসরে বহু সংস্থার যৌথ তৎপরতায় চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম।
গত ৫ আগস্ট ধারালি ও ধারালির কাছাকাছি সুখি টপ এলাকায় দুটি মেঘভাঙা বৃষ্টি ভয়াবহ ধ্বংস ডেকে আনে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ধারালি গ্রাম। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্রচণ্ড স্রোতের সঙ্গে নদীর জল গ্রামমুখে ধেয়ে এসে মুহূর্তের মধ্যে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি ও হোটেল।