মুম্বইয়ে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর প্রতারণা কাণ্ড। প্রায় দুই বছর ধরে চলা এক অনলাইন জালিয়াতিতে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধকে ঠকানো হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা (Fraud Case)! এনডিটিভি জানিয়েছে, এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয় মোট ৭৩৪টি অনলাইন লেনদেনের মাধ্যমে (Fraud Case), আর তদন্তকারীদের সন্দেহ—যে চারজন নারীর নাম এসেছে, তারা আসলে একই ব্যক্তি হতে পারেন।
প্রতারণার (Fraud Case)শুরু ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে, যখন ওই বৃদ্ধ ফেসবুকে ‘শারভি’ নামের এক নারীর সঙ্গে পরিচিত হন। শারভি নিজেকে স্বামীর থেকে আলাদা বলে দাবি করে এবং তার সন্তানদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য চান। ধীরে ধীরে ‘কবিতা’, ‘দিনাজ’ ও ‘জেসমিন’ নামের আরও তিন নারী হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন অজুহাতে টাকা চাইতে থাকে (Fraud Case)।
পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যখন দিনাজ জানায়, শারভি নাকি মারা গেছেন এবং তার হাসপাতালের বিল মেটাতে হবে (Fraud Case)। দিনাজ হুমকি দেয়, টাকা না দিলে সে আত্মহত্যা করবে। এই আবেগের ফাঁদে পড়ে বৃদ্ধ জানুয়ারি ২০২৫ নাগাদ নিজের সঞ্চয় থেকে ৮.৭ কোটি টাকা দিয়ে ফেলেন। এরপর পুত্রবধূ ও ছেলের কাছ থেকেও ধার নিয়ে টাকা পাঠাতে থাকেন, যতক্ষণ না ছেলে সন্দেহ করে এবং হস্তক্ষেপ করে।
সত্যিটা বুঝতে পেরে বৃদ্ধ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। প্রবল ধাক্কায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, হাসপাতালে ভর্তি হন এবং পরে তার ডিমেনশিয়া ধরা পড়ে। ২২ জুলাই সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং মামলার তদন্ত চলছে।
এদিকে, দিল্লিতে দক্ষিণ–পশ্চিম জেলার সাইবার থানার পুলিশ বড়সড় সাফল্য পেয়েছে। জোধপুর ও বালোত্রা গ্যাংয়ের পাঁচ কুখ্যাত সাইবার প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে তারা। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ১০টি উচ্চমানের মোবাইল ফোন, ১২টি প্রক্সি সিম কার্ড, সাতটি ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সাতটি ডেবিট কার্ড, দুইটি জিও রাউটার ও তিনটি সন্দেহজনক পরিচয়পত্র। ১২ জুন এনসিআরপিতে অভিযোগ আসে, যেখানে এক অনলাইন আর্থিক প্রতারণায় ১৭,৩১,৪২৫ টাকা হাতানোর অভিযোগ ছিল।
অন্যদিকে, গুরগাঁওয়ের নুহ এলাকায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি নাকি ভুয়া সিম কার্ড সরবরাহ করতেন একটি সাইবার প্রতারণা চক্রকে, যা একাধিক রাজ্যে সক্রিয় ছিল। অভিযুক্ত সাহিল হুসেন (৩০), মান্দিখেরা গ্রামের বাসিন্দা, তাকে স্থানীয় আদালতে তোলা হয় এবং বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।