মার্কিন কংগ্রেসের হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির ডেমোক্র্যাট নেতারা প্রকাশ্যে ভারতের পক্ষে সুর তুললেন (Tariff War) এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাশিয়ান তেল কেনা নিয়ে নিউ দিল্লিকে ঘিরে চলা ধারাবাহিক আক্রমণকে প্রশ্ন করলেন। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তদারকি করা এই শক্তিশালী কমিটি সতর্ক করেছে—ট্রাম্পের এই “ট্যারিফের রাগের বহিঃপ্রকাশ” দীর্ঘ বছরের যত্নসহকারে গড়ে তোলা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে (Tariff War) ।
ট্রাম্প সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা (Tariff War) দিয়েছেন—আগে ৪ আগস্ট ২৫% এবং ৬ আগস্ট আরও ২৫% বাড়তি শুল্কের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নিউ দিল্লি এই পদক্ষেপকে “অন্যায়” ও “চরম দুর্ভাগ্যজনক” বলে নিন্দা জানিয়েছে। পরিস্থিতি আরও তিক্ত করে, ট্রাম্প জানিয়েছেন যে রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার বিষয়টি “সমাধান” না হওয়া পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত থাকবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় শিবিরের নেতারা বিরলভাবে একমত হয়েছেন। রিপাবলিকানরা ভারতকে ভবিষ্যতের (Tariff War) “বিশ্ব মঞ্চের খেলোয়াড়” বলে উল্লেখ করলেও, ডেমোক্র্যাটরা মনে করিয়ে দিয়েছেন—দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম হয়েছে। নিউ ইয়র্কের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি গ্রেগরি মিক্স বলেছেন, “ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ট্যারিফের (Tariff War) রাগের বহিঃপ্রকাশ আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ আলোচনার পথকে বিপন্ন করছে। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও জনসংযোগের দিক থেকে গভীর। তাই উদ্বেগগুলো শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক উপায়ে সমাধান হওয়া উচিত।”
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইকেল ম্যাকফল প্রশ্ন তুলেছেন—“ভারত রাশিয়ান তেল আমদানি করে বলে ট্রাম্প কেন ২৫% শুল্ক আরোপ করছেন, অথচ চীনের ক্ষেত্রেই কেন একই পদক্ষেপ নিচ্ছেন না, যখন চীন ভারতের চেয়ে বেশি রাশিয়ান তেল আমদানি করে? ট্রাম্প প্রশাসন কি এর কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারবে (Tariff War) ?”
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত এখন শুধু অর্থনৈতিক নয়, কূটনৈতিক উত্তেজনারও কেন্দ্রবিন্দুতে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন—ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত বেইজিংয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও গভীর করতে পারে, যা মার্কিন স্বার্থের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।