সকাল ঠিক ৭টা ২৬ মিনিট। প্রতিদিনের মতোই মেমারি স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে ঢুকল হাওড়াগামী ডাউন বর্ধমান লোকাল (Local Train)। প্রথমে সবকিছুই ছিল একেবারে স্বাভাবিক। প্ল্যাটফর্মে ভিড় জমতে শুরু করল, যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে উঠে পড়লেন কামরায়—শহরের দিকে ছুটছে সকালের ব্যস্ততা। কিন্তু হঠাৎই যেন ছন্দপতন। ট্রেন থামল, আর তারপর আর নড়লই না। মুহূর্তের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল স্টেশনজুড়ে (Local Train)।
বিরক্ত ও উৎকণ্ঠিত যাত্রীরা কামরা থেকে নেমে ছুটলেন ট্রেনের ইঞ্জিন বা চালকের কেবিনের দিকে (Local Train)। আর সেখানেই দেখা মিলল এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য—ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকে রয়েছে এক ব্যক্তির হাত! আশ্চর্যের বিষয়, তিনি কোনও সাধারণ যাত্রী নন, বরং রেলেরই এক কর্মী।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই রেলকর্মী বর্ধমান থেকে কাজে বেরিয়েছিলেন (Local Train)। চালকের কামরায় ছিলেন তিনি। মেমারিতে ট্রেন ঢোকার আগেই ইঞ্জিনের ভিতরে হঠাৎ কিছু পড়ে যায়। সেটি তুলতে গিয়েই তিনি হাত ঢোকান ইঞ্জিনের ফাঁকে। কিন্তু বিপত্তি ঘটে সেখানেই—হাত ঢোকালেও আর বের করা যায় না (Local Train)।
খবর পৌঁছায় মেমারি স্টেশনের অন্যান্য কর্মীদের কাছে। শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের প্রচেষ্টার পর অবশেষে মুক্ত করা হয় আটকে পড়া ওই রেলকর্মীকে। এদিকে, এত দীর্ঘ সময় ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় যাত্রীদের অসুবিধা এড়াতে তাদের অন্য একটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়। অবশেষে ঘণ্টা দেড়েক পরে যান্ত্রিক সমস্যার সমাধান হলে আবার গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটে যায় বর্ধমান লোকাল।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই হাওড়াগামী ডাউন বর্ধমান লোকাল মেমারি স্টেশনে আটকে পড়েছিল। পরবর্তীতে সমস্যা সমাধান হলে ট্রেনটি আবার চালু করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চর্চা তুঙ্গে—রেলকর্মীর এমন বিপদে পড়া ও ট্রেনের দীর্ঘক্ষণ থেমে থাকা নিয়ে প্রশ্নের ঝড় উঠেছে যাত্রীদের মধ্যে।