জেলাওয়ারি কৌশল সাজাতে ফের সক্রিয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক জেলার সংগঠনের হালখবর নিতে বৈঠকে বসছেন তিনি। সোমবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন অভিষেক, আর সেখান থেকেই স্পষ্ট নির্দেশ—সাতটি বিধানসভা আসনের একটিও হাতছাড়া করা যাবে না (Jalpaiguri) ।
লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) তৃণমূলের কাছে যে হতাশাজনক ফল বয়ে এনেছিল, তা নতুন করে মনে করিয়ে দেন তিনি। গতবার তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়কে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়। ভোট-পরিসংখ্যানের বিশ্লেষণও বৈঠকে উঠে আসে (Jalpaiguri) —রাজগঞ্জ, ডাবগ্রাম এবং মালবাজার বাদে বাকি বিধানসভাগুলিতে বিজেপি শক্ত ঘাঁটি তৈরি করেছে। পৌরসভা ভিত্তিক ফলাফলেও দেখা গেছে, জলপাইগুড়ি সদর, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, মালবাজার—সব ক’টি পৌরসভায় প্রায় একচেটিয়া লিড নিয়েছে বিজেপি। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পৌরসভার ২৫টির মধ্যে ২৪টি ওয়ার্ডে, ময়নাগুড়ির ১৭টির মধ্যে ১৬টিতে, ধূপগুড়ির ১৬টির সব কটিতে, এবং মালবাজারের ১৫টির সব কটিতে বিজেপি এগিয়ে।
একুশের বিধানসভা ভোটেও চিত্র খুব আলাদা ছিল না—রাজগঞ্জ, জলপাইগুড়ি, মালবাজার বাদে বাকি আসনগুলি ছিল বিজেপির দখলে। যদিও উপনির্বাচনে ধূপগুড়ি বিধানসভা তৃণমূলের হাতে আসে।
এই প্রেক্ষাপটে জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্বকে স্পষ্ট বার্তা দেন অভিষেক—আগামী নির্বাচনে সাতটি আসনেই জয়ের লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। পাশাপাশি, ব্লক সভাপতিদের বদল নিয়েও খোলামেলা আলোচনা হয় বৈঠকে। জেলা নেতৃত্বের মতামত নিয়ে তৈরি তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই।