রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ওপর হামলার ঘটনায়। তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqui)। তাঁর অভিযোগ, কোচবিহারে যাওয়ার পথে শুভেন্দুর ওপর হামলা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চালানো হয়েছে। নওশাদ (Naushad Siddiqui) বলেন, “এই রাজ্যে হিংসাত্মক রাজনীতি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলায় এই অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক। হিংসার রাজনীতি বন্ধ হোক। বাংলার সুনাম এভাবে নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। আমার গাড়িও ভাঙড়ের ঘটনায় ভাঙচুর হয়েছিল।”
শুভেন্দু অধিকারী এ ঘটনায় সরাসরি অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলমান। এই মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নওশাদ (Naushad Siddiqui)। তাঁর বক্তব্য, “আমার সন্দেহ হচ্ছে, এটা তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে একটি রাজনৈতিক বাইনারি তৈরি করার জন্য সাজানো ঘটনা নয় তো! যে সারা জীবন টুপি পরেনি, শুক্রবারও নামাজ পড়েনি, সে হঠাৎ মাথায় টুপি পরে শুভেন্দুবাবুর গাড়ির সামনে হামলা করল কেন? এখানে আমি অনেক বড় রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছি। এর তদন্ত হওয়া উচিত।”
ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার, যখন বিরোধী দলনেতা কোচবিহারের এসপি অফিস অভিযানে যাচ্ছিলেন। তাঁর কনভয় খাগড়াবাড়ি এলাকায় পৌঁছাতেই প্রথমে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে ইট, বাঁশ ও লাঠি নিয়ে শুভেন্দুর কনভয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। টেলিভিশন ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই মুহূর্ত। একাধিক গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
Z ক্যাটেগরির নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই হামলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, “আমি যদি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকতাম, তাহলে আজ ফুল হাতে আপনারা আমার মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন।” ইতিমধ্যেই এই হামলার ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তিনি নিজের প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়কে। আদালতে মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং এফআইআর দায়ের হয়েছে মন্ত্রী উদয়ন গুহর নামে।