টেলিভিশনের পর্দায় তিনি নির্ভরযোগ্য, পরিণত এক অভিনেত্রী। বাস্তবেও বহুদিন ধরে নিজের কাজ, সংযম ও নম্র ব্যবহারে প্রশংসিত হয়েছেন দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy)। কিন্তু এবার সব কিছুর সীমা পেরিয়ে নিজের কণ্ঠে প্রকাশ করলেন সেই চাপা রাগ ও অপমানবোধ। নাম না করেই এক দীর্ঘ পোস্টে সহঅভিনেতার বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগলেন টলিপাড়ার এই জনপ্রিয় মুখ (Ditipriya Roy)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতিপ্রিয়া (Ditipriya Roy) স্পষ্ট জানালেন, গত কয়েকদিন ধরে একটি ছবি নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। সেটের ছবি পোস্ট করতে গিয়েই সহঅভিনেতা এমন একটি ছবি বেছে নেন, যেটি দিতিপ্রিয়ার একেবারেই পছন্দ হয়নি। প্রোডাকশন টিমকে জানিয়ে সেই ছবি ডিলিটও করান তিনি। কিন্তু এরপরেই একের পর এক সাক্ষাৎকারে সহঅভিনেতা দাবি করতে থাকেন, দিতিপ্রিয়া (Ditipriya Roy) নাকি ‘খারাপ ও নোংরা কমেন্ট’ দেখে কষ্ট পেয়েছেন! অথচ, এমন কোনও কথা নায়িকা বলেননি বলেই দাবি তাঁর।
দিতিপ্রিয়ার অভিযোগ, এই ঘটনাকে ঘিরে তাঁকে ‘স্পন্টেনিয়াস না’ বলে বারবার অপমান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এক সাক্ষাৎকারে সহঅভিনেতা বলেন, তিনি দিতিপ্রিয়াকে ‘খুব শ্রদ্ধা করেন এবং স্নেহ করেন’। অথচ বাস্তবে শুটিংয়ের প্রথম মাস পেরতেই তিনি দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে আর কথা বলেন না, শুধু হোয়াটসঅ্যাপেই যোগাযোগ রাখেন। কারণ হিসেবে জানান, “তোমার মা-কে ভয় পাই”।
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, একদিন সহঅভিনেতা হঠাৎ দিতিপ্রিয়াকে জিজ্ঞেস করেন, “তুমি কি প্রেগন্যান্ট?” আবার মাঝরাতে একটি AI-তে বানানো চুম্বনের ছবি পাঠিয়ে বলেন, “বয়ফ্রেন্ডকে পাঠাও, এই রাতেই ব্রেকআপ হয়ে যাবে।” এমনকি আরও একটি মেসেজে লেখেন, “মা যেন না জানে, কথা আছে তোমার সঙ্গে।” এইসব ঘটনাকে শুরুতে হালকা করে নিলেও পরবর্তীতে দিতিপ্রিয়া বুঝতে পারেন, পরিস্থিতি ক্রমেই অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে।
অভিনেত্রীর কণ্ঠে ক্ষোভ—শুটিং ফ্লোরে অনেকেই এই পরিস্থিতির কথা জানেন। কিন্তু কাজের ক্ষতি না হোক বলে এতদিন চুপ থেকেছেন তিনি। তবে এবার আর নয়। স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিতিপ্রিয়া লেখেন, “আমি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করিনি, আর করবও না।” তাঁর কথায়, সম্মান একজনের জন্য থাকে সব জায়গাতেই, শুধু ক্যামেরার সামনে নয়।
শেষে নিজের এক পুরনো প্রোমো পোস্টের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, “It’s official” পোস্ট ছিল শুধুই একটি প্রোমোশনাল স্ট্র্যাটেজি, যাতে গুঞ্জন ছড়ায়। সবশেষে দিতিপ্রিয়ার স্পষ্ট বার্তা, “মানুষের সুবুদ্ধি হোক, এই কামনাই করি।”