কলকাতায় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন এক যুবক। প্রেম ও ঘনিষ্ঠতার মোড়কে ম্যাট্রিমনি সাইটে ফাঁদ পাতেছিল এক তরুণী ও তার বাংলাদেশি (Bangladeshi) সঙ্গী। সাইটে ছবি আপলোড করে পাত্রী খোঁজার সময় এক তরুণীর (Bangladeshi) সঙ্গে পরিচয় হয় ওই যুবকের। কথাবার্তার পর প্রথম দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয় দু’জনে। নির্দিষ্ট হয় এয়ারপোর্টের আড়াই নম্বর গেট লাগোয়া একটি হোটেল।
তবে সেই প্রথম দেখাই জীবনের এক ভয়ানক অভিজ্ঞতায় পরিণত হয় যুবকের জন্য। অভিযোগ, হোটেলে গিয়ে কফির সঙ্গে কিছু মিশিয়ে যুবককে অচেতন করে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা ও ব্যাগ লুট করে চম্পট দেয় ওই তরুণী (Bangladeshi) । জ্ঞান ফেরার পর খোয়া যাওয়া জিনিসপত্রের কথা বুঝতে পেরে হোটেল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যুবক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ জুলাই ঘটনার পরপরই থানায় অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি, যিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। যুবকের ফোন নম্বর থেকে তরুণীর সঙ্গে ফের যোগাযোগ করা হয়, তবে এবার পুলিশ নিজেরাই পাত্র সেজে কথা বলে। সেই সূত্রে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশি জেরায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তরুণীর সঙ্গে এই প্রতারণার মূলচক্রী হিসেবে যুক্ত ছিল এক বাংলাদেশি (Bangladeshi) যুবক। তাকে গ্রেপ্তার করা হয় দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও ভিসা।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, লুটের সমস্ত জিনিস তরুণী ওই বাংলাদেশি যুবকের হাতে তুলে দিত। তারপর সে বাংলাদেশে পালিয়ে যেত। এই প্রতারণা চক্র দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় ছিল বলে অনুমান। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত, তা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।