কলকাতায় অবৈধভাবে ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে বিপুল সম্পত্তি কিনে ফেলেছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) মডেল তথা অভিনেত্রী শান্তা পাল। দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত এলাকায় নিজের লিভ-ইন সঙ্গী, অন্ধ্রপ্রদেশের যুবক আশরফের সঙ্গে যৌথভাবে ফ্ল্যাট কেনেন এই বাংলাদেশি নাগরিক। প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে সম্পত্তি কেনার বিষয়টি জানতে পেরে তদন্তে নেমেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।
বাংলাদেশি (Bangladesh) পাসপোর্টে ২০২৩ সালে কলকাতায় আসেন শান্তা। এরপর পরিচয় গোপন করে বর্ধমানের বরশুল এলাকার বাসিন্দা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগেন (Bangladesh) । তৈরি করান ভুয়ো আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার আইডি এবং প্যান কার্ড। কলকাতায় পার্ক স্ট্রিট ও গল্ফগ্রিনে ভাড়া ফ্ল্যাটে সঙ্গী আশরফের সঙ্গে শুরু করেন লিভ-ইন। বন্ধুর নথি ও নিজের ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই সম্পত্তি কেনেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তে উঠে এসেছে, শান্তা একসময় বাংলাদেশের (Bangladesh) জনপ্রিয় মডেল ছিলেন। বিভিন্ন বিউটি কনটেস্টে সাফল্যের পরে ২০১৯ সালে ‘মিস এশিয়া গ্লোবাল’ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বও করেন। শুরু করেন অভিনয়ও। বাংলাদেশের একটি এয়ারলাইন্সে চাকরি করার পর টলিউড ও দক্ষিণী ছবিতেও অভিনয়ের সুযোগ পান। টলিউডের একটি ছবিতে অভিনয় করলেও তা মুক্তি পায়নি (Bangladesh) । ওড়িয়া ও তেলুগু ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, শান্তা ও আশরফ নিজেদের ‘ডিজিটাল বিয়ে’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন (Bangladesh) । যদিও এই ধরনের কোনও স্বীকৃত বিয়ের প্রক্রিয়া নেই বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। আরও জানা গেছে, আশরফের পাসপোর্ট শান্তা নিজের কাছেই রাখতেন।
পুলিশের দাবি, শান্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পরিচয় এভাবে তুলে ধরতেন যাতে কেউ বুঝতেই না পারে যে তিনি বাংলাদেশি। ২০২১ সালে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সময় ঢাকার এক ব্যাংক কর্মকর্তার প্রেমিকাকে জয়ী করার অভিযোগ তুলে চরম বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। এমনকি আদালতে মামলাও দায়ের করেছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন।
এই মুহূর্তে শান্তা পালের বিরুদ্ধে জাল পরিচয়পত্র তৈরির অভিযোগে তদন্ত চলছে। তাঁর কলকাতায় থেকে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য, অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে ভারতে বাস করার অবৈধ বন্দোবস্ত করাই ছিল বলে অনুমান লালবাজারের।