বিতর্কের শুরু দিনহাটার উত্তর ব্রজবাসী থেকে (NRC Notice)। এরপর একের পর এক নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নোটিস যেন হানার মুখে পড়ছে কোচবিহার ও আশেপাশের জেলাগুলি। ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে ফের উসকে উঠেছে এনআরসি বিতর্ক। এবার সেই তালিকায় (NRC Notice) যুক্ত হলেন তুফানগঞ্জের মোমিনা বিবি। বছর চল্লিশ আগে অসমের ধুবরি জেলার আগমনীর বাসিন্দা জহির মিঞাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। এক বছর সংসার করার পর স্বামীর সঙ্গে ফিরে আসেন নিজের বাপেরবাড়ি, তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বাঁশরাজা প্রথমখন্ড গ্রামে। কিন্তু সে সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র দু’বছরের মধ্যেই স্বামী তাঁকে ছেড়ে চলে যায়।
এরপর জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়। দ্বিতীয়বার বিয়ে করে বাঁশরাজাতেই সংসার শুরু করেন মোমিনা (NRC Notice)। কিন্তু এই সম্পর্কও ভেঙে যায়। বর্তমানে দুই ছেলে ও পুত্রবধূদের নিয়ে কোনওক্রমে জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি (NRC Notice)। কিন্তু হঠাৎ করেই জীবনে নেমে এল এক ভয়াবহ শঙ্কা—জাতীয় নাগরিকপঞ্জি, অর্থাৎ এনআরসি-র নোটিস।
মোমিনার দাবি (NRC Notice), গত এক বছর ধরেই তিনি নোটিস পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনটি নোটিস হাতে পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি আরও চমকে ওঠেন যখন পুলিশ তাঁর বাড়িতে এসে জানায়—এবার আদালতে হাজিরা না দিলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে।
এই ঘটনার পর তুফানগঞ্জ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এলাকার মানুষ বলছেন, একজন মহিলা, যিনি প্রায় চার দশক ধরে এই এলাকায় আছেন, যাঁর সন্তানরা এখানেই জন্মেছে, বড় হয়েছে—তাঁর বাড়িতে এনআরসি-র নোটিস কীভাবে আসে?
এর আগেই কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে এনআরসি-র একাধিক নোটিস পাঠানো হয়েছে। মাথাভাঙার বাসিন্দা নিশিকান্ত দাস ও ফালাকাটার বাসিন্দা অঞ্জলি শীল ইতিমধ্যেই এই নোটিস পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
এখন মোমিনা বিবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের জোরদার হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। একদিকে কেন্দ্রের অভিবাসন সংক্রান্ত নীতি, অন্যদিকে ভোটের মুখে বাংলায় এর প্রভাব নিয়ে শুরু হয়েছে জোরালো আলোচনা।