গাড়ি চুরির মিথ্যে অভিযোগে এক রাত জেলে কাটাতে হল ক্যানসার আক্রান্ত এক কলেজ ছাত্রকে (Kolkata)। অথচ পরে প্রমাণ মিলেছে, ওই গাড়িটি তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় সাড়ে আট লক্ষ টাকায় কিনেছিলেন এক বছর আগেই। কিন্তু পুরনো গাড়ির মালিক ও বিক্রেতার অবহেলার জেরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা এই যুবককে (Kolkata) সহ্য করতে হল চরম হয়রানি, মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়ে সেই গাড়িও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে আগের মালিকের হাতে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে (Kolkata)। সার্ভে পার্কের বাসিন্দা ও কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, যিনি ক্যানসারের চিকিৎসার মধ্যেও নিয়মিত কলেজ ও হাসপাতালে যাতায়াত করতেন, নিজের প্রয়োজনেই কিনেছিলেন একটি পুরনো গাড়ি (Kolkata)। টাকা নেওয়ার রসিদ থেকে শুরু করে গাড়ির সমস্ত নথি তাঁর হাতে দেওয়া হলেও গাড়ির রেজিস্ট্রেশনে তাঁর নাম স্থানান্তরিত হয়নি। কারণ হিসেবে বিক্রেতা বারবার বলেছেন—গাড়ির আসল মালিক শহরের বাইরে (Kolkata)।
গত ১২ মে তিনজলা থানার পুলিশ প্রথমবার তাঁর গাড়িটি আটক করে কাগজ চেক করতে চাইলে, গাড়ির বিক্রেতা তড়িঘড়ি প্রগতি ময়দান থানায় গিয়ে একটি এভিডেফিট জমা দেন, যাতে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়ার কথা লেখা ছিল। কিন্তু এর কিছুদিন পর, ৩০ মে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ আবার গাড়িটি আটক করে, এবং গাড়ির প্রাক্তন মালিকের অভিযোগে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে।
যুবকের অভিযোগ, গাড়ির মূল চাবি ও নথি তাঁর কাছেই ছিল, তবুও তাঁকে গ্রেপ্তার করে একরাত জেলে রাখা হয়। “আমি একজন ক্যানসার পেশেন্ট। চিকিৎসার জন্যই গাড়িটি কেনা হয়েছিল। অথচ আমাকে এমন অপমানজনক পরিস্থিতির মুখে পড়তে হল! আমার মানসিক ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে,” ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই ছাত্র। পুলিশ নাকি তাঁকে না জানিয়েই গাড়িটি আগের মালিকের হাতে তুলে দেয় বলেও অভিযোগ।
এরপরই গাড়ির বিক্রেতার বিরুদ্ধে সরাসরি সার্ভে পার্ক থানায় পালটা অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্র। এখন দেখার, প্রশাসন ক্যানসার আক্রান্ত এই যুবকের পাশে দাঁড়ায়, না কি আবারও আইনি গাফিলতিতে নতুন করে শিকার হতে হয় তাঁকে।