লিডসে সিরিজের শুরু হয়েছিল হতাশাজনক হার দিয়ে। তারপর এজবাস্টনে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। সেই উজ্জ্বল প্রত্যাবর্তনের পর লর্ডসে আবার কপালে লিখেছিল হতাশা (Goutam Gambhir)। ১৯৩ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ২২ রানের ব্যবধানে ম্যাচ খুইয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে ম্যাচ শেষে আলোচনায় ছিলেন একঝাঁক লড়াকু সৈনিক—রবীন্দ্র জাডেজা, জসপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ সিরাজ (Goutam Gambhir)।
এবার ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে যখন ভারত একেবারে ইনিংস পরাজয়ের মুখোমুখি (Goutam Gambhir), তখনই যেন অবিশ্বাস্য এক নাটকীয়তায় বদলে গেল গল্পের মোড়। শেষ দেড় দিনেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় ব্যাটাররা প্রতিরোধ গড়ে তুললেন এমন এক মানসিক দৃঢ়তার সঙ্গে, যা সহজে ভুলবে না ক্রিকেটপ্রেমীরা। জয় না এলেও সেই অটল মানসিকতা ভারতের (Goutam Gambhir) জন্য জুগিয়ে দিল এক ঐতিহাসিক ড্র।
এই টেস্টে তিনজন ভারতীয় ব্যাটার শতরানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন—শুভমন গিল, রবীন্দ্র জাডেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দর (Goutam Gambhir)। তাঁদের ব্যাট থেকে উঠে এসেছে সেই লড়াইয়ের সুর, যা দলকে চূড়ান্ত বিপর্যয়ের মুখ থেকে উদ্ধার করে।
ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখোমুখি হন ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। তাঁর কথায় স্পষ্ট আনন্দ, গর্ব এবং আশাবাদ (Goutam Gambhir)। তিনি বলেন, “এই ম্যাচ আমাদের সিরিজে টিকে থাকার একটা সুবর্ণ সুযোগ এনে দিল। এত চাপের মধ্যে থেকেও দল যে পারফর্ম করল, সেটা সত্যিই দারুণ অনুভব। ড্রেসিংরুমে এখন যে বিশ্বাসের আবহ তৈরি হয়েছে, তা এই ড্র-এর ফলেই। এমন ড্রও অনেক সময় ম্যাচ জেতার চেয়ে মূল্যবান হয়ে ওঠে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিজের খেলার সময়ের সঙ্গে তুলনা করতে অস্বীকার করে গম্ভীর স্পষ্ট করে দেন—এই টিম নিজের পথেই হাঁটছে। গম্ভীর বলেন, “আমার মনে পড়ে না, আমি কখনও এমন ইনিংস খেলেছি। তবে সেগুলো এখন অতীত। বর্তমান ভারতীয় দল সম্পূর্ণ আলাদা। ওরা কাউকে নকল করতে চায় না, কারও ছায়ায় হাঁটতে চায় না। নিজেদের মতো করে, নিজেদের পরিচয়ে, ওরা নিজেদের ইতিহাস লিখে চলেছে।”
ম্যাঞ্চেস্টারের ড্র যেন শুধু এক ম্যাচের ফল নয়, বরং এক নতুন আত্মবিশ্বাসের ভিত্তিপ্রস্তর, যা সিরিজের বাকিটা পথেই ভারতকে এগিয়ে রাখবে। শুভমন, জাডেজা, সুন্দর—তিনটি নাম, এক অবিস্মরণীয় প্রতিরোধের গল্পের স্থপতি।