Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • টানেলের বদলে ফাইভ-স্টার! হামাস নেতার বিধবা এখন তুরস্কে বিয়ে করে সুখে! গাজায় বোমা আর না খেয়ে মরছে জনগণ
বিদেশ

টানেলের বদলে ফাইভ-স্টার! হামাস নেতার বিধবা এখন তুরস্কে বিয়ে করে সুখে! গাজায় বোমা আর না খেয়ে মরছে জনগণ

Hamas leader wife
Email :4

হামাস প্রধান (Gaza) ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর কম সময়ের মধ্যেই তাঁর স্ত্রী সামার আবু জামার আবারও বিয়ে করেছেন—এই চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এনেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম Ynetnews.com। দাবি করা হয়েছে, গাজা (Gaza) থেকে পালিয়ে এখন তিনি তুরস্কে নতুন জীবন শুরু করেছেন, আর সেই খবরেই গাজা উপত্যকায় তৈরি হয়েছে প্রবল ক্ষোভের স্রোত।

গাজায় (Gaza) যেখানে বোমা, অনাহার ও উদ্বাস্তু জীবনের মুখে পড়েছেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ, সেখানে হামাস নেতাদের পরিবার চুপিচুপি অঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার খবর আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করেছে। বহু গাজাবাসী (Gaza) এখন প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলছেন—এই যুদ্ধে তাঁরা সত্যিই জাতির জন্য লড়ছেন, নাকি কিছু শীর্ষ নেতার বিলাসবহুল জীবনের দাম দিচ্ছেন?

সামার আবু জামারকে আগেই ধারণা করা হচ্ছিল যে তিনি সন্তানদের নিয়ে হামাস টানেলে আত্মগোপনে(Gaza) রয়েছেন। কিন্তু নতুন খবর অনুযায়ী, তিনি কয়েক মাস আগেই গাজা ছেড়ে গেছেন এবং এখন তুরস্কে নতুন বিয়ে করে বসবাস করছেন।

Ynetnews.com এর দাবি অনুযায়ী, সামার রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গোপনে গাজা (Gaza) ছেড়েছেন। তাঁর পাসপোর্ট নকল ছিল এবং একটি বিশাল চক্রের মাধ্যমে অর্থ, পরিচিতি এবং আন্তর্জাতিক সংযোগ ব্যবহার করে এই পালিয়ে যাওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই অপারেশনে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ফাথি হাম্মাদের সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

তাঁর বিয়ের খবর এখনও হামাসের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত না হলেও, একাধিক অননুমোদিত সূত্র তা নিশ্চিত করেছে। এর আগে একটি ভিডিওতে সামারকে হামাস টানেলে ঢোকার সময় হ্যাঞ্জব্যাগ হিসেবে বিলাসবহুল Hermès Birkin ব্যাগ বহন করতে দেখা যায়—যা যুদ্ধকালীন দারিদ্র্যের মাঝে সাধারণ মানুষকে রীতিমতো ক্ষুব্ধ করেছিল।

ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছিলেন ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ইসরায়েলে হামলার মাস্টারমাইন্ড, যিনি পরে ইসরায়েলি বাহিনীর স্ট্রাইকে নিহত হন। তবে এবার তাঁর স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রী, নাজওয়া সিনওয়ারের গাজা ত্যাগ নিয়েও গুঞ্জন তীব্র।

ইসরায়েলি সূত্র বলছে, নাজওয়া সিনওয়ারও যুদ্ধের আগেই তাঁর সন্তানদের নিয়ে গাজা ত্যাগ করে তুরস্ক চলে যান।

একজন গাজাবাসী বলেছেন, “তাদের সন্তানরা পড়াশোনা করে তুরস্ক-কাতারে, আর আমাদের সন্তানদের পাঠানো হয় কবরে!” আরেকজন বলেছেন, “হামাস নেতারা আরব বিশ্বের অন্য দুর্নীতিপরায়ণ শাসকদের চেয়ে কিছুই আলাদা নয়। ওদের শুধু নিজের ভালোটাই দেখতে হয়।”

মনে করা হচ্ছে, যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকেই হামাস নেতাদের পরিবারকে পালাতে সহায়তা করতে পুরোনো একটি চোরাচালান চক্র সক্রিয় করা হয়। এতে ব্যবহৃত হয় ভুয়া পাসপোর্ট, সাজানো মেডিকেল কাগজপত্র ও কিছু সহানুভূতিশীল দেশের দূতাবাসের সহায়তা।

এই বিভেদপূর্ণ চিত্রের মাঝে উঠে এসেছেন এক ব্যতিক্রমী মুখ—হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের স্ত্রী উম্ম খালেদ। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে তাঁকে তাঁর তিন সন্তানসহ একটি সাধারণ বাড়িতে থাকতে দেখা যায়। তিনি বলেন, “আমাদের বাড়িতে চারটা বিছানা আর একটা মাদুর আছে। যুদ্ধের আগে যেমন ছিল, এখনও তেমনই। আমি পালাব না, আমি আমার জনগণের সঙ্গেই আছি।”

এই বক্তব্য গাজায় ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। একজন বলছেন, “অন্তত একজন তো রয়ে গেছেন আমাদের সঙ্গে।”

২০০৭ সাল থেকে গাজায় শাসন করছে হামাস। নিজেদের ‘প্রতিরোধের প্রতীক’ বলে তুলে ধরলেও, নেতাদের পরিবারের বিলাসবহুল জীবন ও নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে জনগণের ক্ষোভ এখন তুঙ্গে।

একজন মধ্যবয়সী গাজাবাসী খান ইউনিসে দাঁড়িয়ে বলেন, “প্রশ্নটা এখন আর ইসরায়েল বনাম আমরা নয়, বরং এটাই—আমরা কি সত্যিই কোনো মহান লক্ষ্যের জন্য এই ত্যাগ স্বীকার করছি, না কি হামাস নেতারা দোহার ফাইভ-স্টার হোটেলে থাকতে পারেন বলেই?”

ইতিমধ্যেই এই ক্ষোভ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এবং যুদ্ধ চলতেই থাকলে, এই অভ্যন্তরীণ ফাটল হামাসের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts