বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেনে প্রথমবারের জন্য পা রাখলেন ভারতের সেনাপ্রধান (Indian Army Chief) জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর তাঁর এই সফর শুধু কৌশলগত নয়, ছিল আবেগঘনও। কারণ, যেই ব্যাটালিয়নের সঙ্গে তিনি (Indian Army Chief) এই কঠিন ভূখণ্ডে সময় কাটালেন — সেই ১৮ জ্যামু ও কাশ্মীর রাইফেলস-ই ছিল তাঁর সেনাজীবনের সূচনাস্থল। এখানেই কমিশন পেয়েছিলেন, এখানেই ছিলেন অধিনায়ক।
এই সফরের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি হয়, যখন সেনাপ্রধানের (Indian Army Chief) সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর পুরনো সহযোদ্ধাদের। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিয়াচেনের সামনের একটি পোস্টে পৌঁছে জেনারেল দ্বিবেদী সাতজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার (JCO)-এর সঙ্গে মিলিত হন, যারা তাঁর অধীনে সেই সময়কার সৈনিক হিসাবে কাজ করতেন (Indian Army Chief)।
এই সাক্ষাৎ শুধুই কৌশলগত পর্যালোচনা বা আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, ছিল মন ছুঁয়ে যাওয়া এক reunion। ভারতীয় সেনা এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ পোস্ট করে জানায়,
“এক আবেগঘন মুহূর্তে সেনাপ্রধান সেই সাতজন JCO-র সঙ্গে পুনর্মিলন ঘটান, যারা তাঁর কমান্ডে একসময় তরুণ সৈনিক হিসেবে কাজ করেছিলেন।”
সেই শৈত্যপ্রবাহে মোড়া কঠিন পর্বতশৃঙ্গে, বরফের চাদরে মোড়া যুদ্ধভূমিতেও সেনাপ্রধানের (Indian Army Chief) হৃদয় উষ্ণ হয়ে উঠল পুরনো স্মৃতি আর সহযোদ্ধাদের আলিঙ্গনে। ভারতীয় সেনা লিখেছে, “সিয়াচেনের হিমশীতল প্রান্তরে, সেনাপ্রধান ফিরে পেলেন পুরনো স্মৃতির ঝাঁপি, ভাগ করে নিলেন হৃদয়ের কথা, এবং উদযাপন করলেন সেই অবিচ্ছেদ্য বন্ধন — যা সময়, ঠান্ডা কিংবা যুদ্ধ কোনও কিছুতেই ভাঙে না।”
এই সফর স্রেফ সামরিক পর্যবেক্ষণ নয়, এটি হয়ে উঠল এক ভ্রাতৃত্বের জয়গান, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গর্ব।