ভাঙনে ক্ষতবিক্ষত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েই ক্ষোভের মুখে পড়তে হল মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে (Ratua)। রবিবার রতুয়া (Ratua) ১ নম্বর ব্লকের ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলি ঘুরতে গিয়ে স্থানীয়দের তীব্র বিক্ষোভে পড়েন তিনি। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে নদীভাঙনে ঘরবাড়ি, জমি হারালেও কোনও স্থায়ী সমাধান নেই। সেই ক্ষোভ নিয়েই এদিন ঘিরে ধরে সাংসদকে (Ratua)।
স্থানীয়রা বলেন, প্রতিবার নেতা-মন্ত্রী আসেন, কথা বলেন, ছবি তোলেন, তারপর আর কিছু হয় না। কেউ কেউ (Ratua) তো প্রকাশ্যে বলেন, “আপনি যদি কিছুই করতে না পারেন, তাহলে বারবার আসেন কেন? আমরা নিজেরাই টাকা তুলে কাজ করতাম!” গ্রামবাসীদের এমন তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে নিজের বক্তব্যে রাজ্য সরকারকেই দোষারোপ করেন খগেন মুর্মু।
সাংসদের দাবি (Ratua), ভাঙন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য কেন্দ্র তহবিল দিতে প্রস্তুত। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় ‘ডিটেইলড প্রজেক্ট রিপোর্ট’ (DPR) পাঠাচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, “রাজ্য যদি ভাঙন রোধে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা কেন্দ্রে না পাঠায়, তাহলে অনুদান দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি, সেচমন্ত্রীকেও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও জবাব পাইনি এখনও।”
রতুয়ার (Ratua) মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই গঙ্গা, ফুলহর ও কোশি নদীর যৌথ স্রোতের ধাক্কায় নদীভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। প্রতিবছর কিছু অস্থায়ী ব্যবস্থা ছাড়া তেমন কিছুই হয়নি। এই বছরও পশ্চিম রতনপুর, কান্তুটোলা, মুলিরামটোলা, জিতুটোলা প্রভৃতি এলাকায় নদীভাঙন ব্যাপকভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে। আতঙ্কে ঘরবাড়ি ফেলে গ্রাম ছাড়ছেন বহু মানুষ।
সাংসদ খগেন মুর্মুর দাবি, স্থানীয়দের ক্ষোভ স্বাভাবিক। বহু বছর ধরে চলা সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। তিনি বহুবার এই বিষয়ে সরব হয়েছেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, রাজ্য সরকার নিজের দায়িত্ব পালন না করায় আজ কেন্দ্রীয় সাহায্যও থমকে আছে।
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে আবারও প্রশ্ন উঠেছে—ভাঙন কি শুধুই প্রকৃতির অভিশাপ, না প্রশাসনিক উদাসীনতার ফল?