Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • জেলা
  • “রোগীর জন্য কথা বললেই থ্রেট?” — ডাক্তারি ছাত্রদের বিস্ফোরক প্রশ্নে কাঁপছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ
জেলা

“রোগীর জন্য কথা বললেই থ্রেট?” — ডাক্তারি ছাত্রদের বিস্ফোরক প্রশ্নে কাঁপছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ

bankura medical college
Email :4

রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ বা ভয় দেখানোর সংস্কৃতি নিয়ে ইদানিংকালে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার সেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল বাঁকুড়া (Bankura) মেডিক্যাল কলেজও। হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তুললেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের, কখনও কথায়, কখনও ইঙ্গিতে। এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকেই পোস্টার হাতে আন্দোলনে নেমেছেন একাধিক ছাত্রছাত্রী।

আন্দোলনকারীদের (Bankura) প্রশ্ন, “রোগীদের সমস্যা নিয়ে কথা বললে যদি হুমকি দেওয়া হয়, তাহলে ডাক্তারি পড়ারই বা মানে কী? চিকিৎসার পরিবেশে যদি ভয় কাজ করে, তাহলে চিকিৎসা পেশা কেমন করে এগোবে?” কেউ কেউ বলেন (Bankura), হাসপাতাল যেন আজ ‘সাইলেন্ট জোন’-এ পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রশ্ন করা মানেই শাস্তি। আন্দোলনকারীদের হাতে ধরা পোস্টারেই স্পষ্ট তাঁদের ক্ষোভ— “চিকিৎসা নয়, কেন থ্রেট?” কিংবা “রোগীদের কথা বললেই যদি হুমকি মেলে, তবে ডাক্তারি পড়ার মানেটাই বা কী?”

চিকিৎসা পরিসেবার গুণমান নিয়েই মূলত প্রশ্ন তুলতে গিয়েই এই সমস্যার মুখে পড়ছেন তাঁরা (Bankura), দাবি পড়ুয়াদের। তাঁদের মতে, চিকিৎসা পরিষেবার মান নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা প্রশ্ন তুললে, সেটিকে অপরাধ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে শুধু ছাত্রছাত্রীরাই নন, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রোগীরাও।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে  মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. পঞ্চানন কুণ্ডু নিজে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের সমস্ত অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শোনেন। আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। যথাযথ তদন্ত হবে। যদি কোনও দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই হাসপাতাল রোগী পরিষেবা ও চিকিৎসা শিক্ষার জন্য, কাউকে ভয় দেখানোর জন্য নয়।”

এই ঘটনার জেরে রাজ্যের মেডিক্যাল শিক্ষার পরিসরে আবারও প্রশ্ন উঠে গেল— একজন ভবিষ্যৎ চিকিৎসক যদি নিজের মত প্রকাশের জন্য হুমকির মুখে পড়েন, তাহলে সেই পরিবেশে কতটা সুস্থভাবে শিক্ষা গ্রহণ সম্ভব?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts