ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস-এ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিল হয়েছে ঠিক এক সপ্তাহ। কিন্তু বিতর্কের আগুন এখনও নিভছে না। কারণ, সেমিফাইনাল বা ফাইনালে দুই দল আবার মুখোমুখি হতে পারে এমন সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। এর মধ্যেই ফের শিরোনামে শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)।
জুলাই ১৮-তে হওয়ার কথা ছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। কিন্তু শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan) একদিন আগেই এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ একটি ইমেইলের স্ক্রিনশট শেয়ার করে জানিয়ে দেন, তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও ম্যাচ খেলবেন না। সেই ইমেইলটি তিনি আয়োজকদের পাঠিয়েছিলেন ১১ মে (Shikhar Dhawan)।
ধাওয়ানের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে দেশজুড়ে নানা প্রতিক্রিয়া ওঠে। কেউ প্রশংসায় পঞ্চমুখ, কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন দ্বৈত মানসিকতা নিয়ে। কারণ, একই সময়ে ভারত-পাকিস্তান তিনবার মুখোমুখি হতে পারে এশিয়া কাপে। ফলে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে।
সাম্প্রতিক এক সাংবাদিক সম্মেলনে যখন এক সাংবাদিক ধাওয়ানকে (Shikhar Dhawan) প্রশ্ন করেন, “যদি সেমিফাইনাল বা ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে হয় তাহলে কী করবেন?” — তখন ধাওয়ান (Shikhar Dhawan) ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন,
“আপনি সময় এবং জায়গা বুঝে প্রশ্ন করেননি। এই প্রশ্নটাই করা উচিত হয়নি। আর আমি যখন খেলিনি তখন, এখনো খেলব না—এটাই আমার অবস্থান।”
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় পুরো পরিস্থিতি এক অদ্ভুত মোড় নিয়েছে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC) ঘোষণা করেছে, ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ আয়োজিত হবে ভারতে। এবারের এশিয়া কাপ ৮ দলের টুর্নামেন্ট হবে এবং ভারত ও পাকিস্তান একই গ্রুপে রয়েছে। এতে করে তিনবার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুই দলের।
এখন প্রশ্ন উঠছে—যেখানে ধাওয়ান জাতীয় দায়িত্ব বলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে রাজি নন, সেখানে এশিয়া কাপে তিনবার মুখোমুখি হওয়া কি সত্যিই দেশের অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখানো? না কি রাজনৈতিক চাপ বা আর্থিক লাভের কারণেই এই অবস্থান পরিবর্তন?