আজ তিনি আন্তর্জাতিক তারকা, বিশ্বজোড়া জনপ্রিয়তার মালিক, গ্লোবাল আইকন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra)। কিন্তু তারও পেছনে আছে এক লড়াইয়ের কাহিনি, যেটা আড়ালে থেকে গেছে বহুদিন। ২০০৫ সালে আমেরিকার বোস্টনে এক সাক্ষাৎকারে একেবারে খোলামেলা কথা বলেছিলেন তিনি (Priyanka Chopra)। তখন বাবার লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য বোস্টনে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা।
সেই সময় বলিউডে একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবিতে কাজ করছিলেন তিনি—‘ব্লাফ মাস্টার’ থেকে শুরু করে শাহরুখ খান, হৃত্বিক রোশন, অমিতাভ বচ্চন ও অক্ষয় কুমারের সঙ্গে একাধিক বড় প্রোজেক্ট (Priyanka Chopra)। তবু রাতের বেলা যখন নিঃসঙ্গতা ঘিরে ধরত, ফোন করে মনের কথা বলার মতো একজন প্রকৃত বন্ধু খুঁজে পেতেন না তিনি (Priyanka Chopra)।
প্রিয়াঙ্কার(Priyanka Chopra) মর্মস্পর্শী স্বীকারোক্তি ছিল, “বলিউডে আমার এক কোটি পরিচিত আছে, কিন্তু একটা বন্ধু নেই যার কাছে বিছানায় বসে রাতে মনের কথা বলতে পারি।”
তিনি (Priyanka Chopra) আরও বলেছিলেন, “এই ইন্ডাস্ট্রিতে যত ওপরে ওঠো, যত সফল হও, তত একা হয়ে যাও।” তখন মাত্র তিন বছর হল বলিউডে পা রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু সে সময়ই তিনি বলেছিলেন, “আমি ভীষণ ভয় পাই নিঃসঙ্গতার। ভয় পাই এমন মৃত্যুর, যেখানে আমার চারপাশে কোনো বন্ধু থাকবে না।”
তবে ক্যারিয়ারে ব্যস্ত থাকলেও হৃদয়টা পড়ে ছিল বোস্টনে। কারণ এই শহরেই কেটেছে তাঁর হাইস্কুল জীবন। আবার যখন পরিবার বাবার অসুস্থতার কারণে একত্রিত হয়েছিল, সেই পুরোনো শহর যেন হয়ে উঠেছিল নতুন করে তাঁর আশ্রয়।
বছর কয়েক পর, ২০১৮-র ডিসেম্বরে হল সেই রাজকীয় বিয়ে — আমেরিকান পপস্টার নিক জোনাসকে বিয়ে করলেন প্রিয়াঙ্কা। ভারতীয় আর পাশ্চাত্য রীতির মেলবন্ধনে ইতিহাস গড়ল সেই অনুষ্ঠান। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সারোগেসির মাধ্যমে তাঁদের কন্যাসন্তান মালতি মেরির জন্ম হয়।
কিন্তু আজ বিশ্বজোড়া গ্ল্যামার, হলিউড সাফল্য আর লাইমলাইটের মাঝে দাঁড়িয়ে সেই ২০০৫ সালের কথাগুলো যেন আরও স্পষ্ট — “সাফল্য তোমায় অনেক কিছু দেয়, কিন্তু একাকীত্বও উপহার দেয়…”