বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ আরও চড়ছে। প্রায় এক বছর হয়ে গেল শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন, নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাঁর দল আওয়ামি লিগ ও ছাত্রলীগ। তবুও দেশের রাজনীতি থেকে ‘হাসিনা আতঙ্ক’ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। ফের একবার সেই বিতর্কিত প্রাক্তন শাসক দলের নাম উঠে এল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের মুখে (Bangladesh) ।
শনিবার রাজধানী ঢাকায় (Bangladesh) এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ১৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মহম্মদ ইউনূস। বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ঐক্য ও সহযোগিতা গড়ে তোলা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইউনূস বলেন, “পতিত শক্তি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারা গন্ডগোল পাকিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”
তিনি নাম না করলেও স্পষ্ট যে তাঁর ইঙ্গিত ছিল নিষিদ্ধ আওয়ামী লিগের দিকেই (Bangladesh) । তিনি আরও বলেন, “গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যারা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করেছে, সেই সব শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে যদি আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারি, তাহলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বড় সুযোগ হাতছাড়া হবে।”
মহম্মদ ইউনূসের অভিযোগ, পরাজিত শক্তি—যাদের সরাসরি ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে—তারা নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতিতে বাধা দিচ্ছে। তিনি বলেন, “যখনই আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, তখনই নানা ছলচাতুরী ও গন্ডগোলের মাধ্যমে পরিকল্পনা বানচাল করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কোনও ষড়যন্ত্রই গণতান্ত্রিক অগ্রগতিকে আটকাতে পারবে না।”
এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সব রাজনৈতিক দলগুলির সহযোগিতারও আবেদন জানান তিনি। বৈঠকে উপস্থিত নেতারা তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ণ সহযোগিতার।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বৈঠক শেষে বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যেই নির্বাচনের নির্ধারিত দিন ও সময় ঘোষণা করা হবে।” ফলে এখন নজর আগামী সপ্তাহের দিকেই, ঠিক কবে ভোট তারিখ ঘোষণা হয়, সেটাই জানতে মুখিয়ে গোটা দেশ।