স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) প্রাক্কালে দেশকে রক্তাক্ত করার ষড়যন্ত্র কি রুখে দেওয়া গেল? পাঞ্জাবে অমৃতসর গ্রামীণ এলাকায় বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক বানচাল করল পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রত্যক্ষ মদতপুষ্ট এক আন্তঃসীমান্ত অস্ত্র ও চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Independence Day)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও নগদ টাকা। দেশের অভ্যন্তরে গোপন স্লিপার সেল তৈরি করে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল এই চক্রের—এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের।
গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর তৎপর হয় অমৃতসর গ্রামীণ পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সুনির্দিষ্ট অভিযানের জেরেই পাক মদতপুষ্ট এই চক্রের পাঁচ সদস্যকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে যে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে চক্রান্তের ভয়াবহ রূপ (Independence Day)। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি AK Saiga 308 অ্যাসল্ট রাইফেল (২টি ম্যাগাজিন-সহ), দুটি ৯ মিমি পিস্তল (৪টি ম্যাগাজিন-সহ), ৯০ রাউন্ড একে রাইফেলের গুলি, ১০টি তাজা ৯ মিমি কার্তুজ, সাড়ে সাত লক্ষ নগদ টাকা, একটি গাড়ি এবং তিনটি মোবাইল ফোন।
পঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি জানিয়েছেন, কুখ্যাত গ্যাংস্টার জগ্গু ভগবানপুরিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নভ পান্ডোরি এই অস্ত্র চক্রের মূল দায়িত্বে ছিল (Independence Day)। তার মাধ্যমেই সীমান্ত পেরিয়ে এই অস্ত্র পাচার হচ্ছিল। ধৃত পাঁচজন পঞ্জাবের বিভিন্ন প্রান্তে একটি বিস্তৃত অস্ত্রচক্র চালাত, যার মাধ্যমে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারত একাধিক স্লিপার সেল (Independence Day)।
পুলিশ সূত্রের দাবি, স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে সারা দেশজুড়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল বলেই এই বিপজ্জনক ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে গোটা নেটওয়ার্কে আর কেউ জড়িত কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এখনই কিছু অজানা তথ্য সামনে আসতে পারে বলে মনে করছে গোয়েন্দারা।
দেশজুড়ে এই ঘটনায় ছড়িয়েছে প্রবল উদ্বেগ। দেশবাসীর মনে প্রশ্ন—আরও কত বড় চক্রান্ত লুকিয়ে আছে এই নাশকতার ছায়ায়?