ধর্মস্থলায় (Karnataka) গণকবরের বিভীষিকাময় ঘটনায় সারা রাজ্য জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কর্ণাটকের বহু আইনজীবী এবার সরব হলেন এই নৃশংস ঘটনার তদন্তে পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর দাবিতে। তাঁদের দাবি, সরকারের উচিত দ্রুত একটি নির্দিষ্ট হেল্পলাইন চালু করা, যাতে ভুক্তভোগী পরিবারগুলি ভয় না পেয়ে সাহস করে অভিযোগ জানাতে পারে (Karnataka)।
এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী মঞ্জুনাথ এন, যিনি নিখোঁজ হওয়া ছাত্রী (Karnataka) অনন্যা ভট্টের তরফে মামলার দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “অনেক পরিবার আমার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছে। তারা সরাসরি পুলিশের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছে, আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। একটি সরকারি হেল্পলাইন থাকলে তাদের জন্য অভিযোগ জানানো অনেক সহজ হয়ে যাবে।”
২০০৩ সালে ধর্মস্থলায় (Karnataka) একটি কলেজ ট্রিপে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় প্রথম বর্ষের এমবিবিএস ছাত্রী অনন্যা ভট্ট। বছর ষাটের মা সুজাতা ভট্ট, যিনি সিবিআই-এর প্রাক্তন স্টেনোগ্রাফার, সম্প্রতি ১৫ জুলাই ধর্মস্থলা থানায় ফের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনাটি আবার আলোচনায় উঠে আসে এবং সরকারের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার সবচেয়ে ভয়াবহ মোড় আসে তখন, যখন এক প্রাক্তন সাফাইকর্মী সামনে এসে জানায়(Karnataka) —১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে তাকে ভয় দেখিয়ে বহু মহিলার ও নাবালিকার মৃতদেহ দাহ ও কবর দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। তার অভিযোগ, অধিকাংশ মৃতদেহেই নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল। অনেক মৃতদেহ নগ্ন অবস্থায় ছিল, কিছু দেহে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। অভিযোগে লেখা রয়েছে, “শতাধিক নারী, অনেক ছাত্রীও, ধর্ষিত হয়েছেন, খুন হয়েছেন এবং পরে গোপনে কবর দেওয়া হয়েছে…।”
এমন এক জঘন্য, অমানবিক এবং দীর্ঘদিন চাপা থাকা অপরাধের মুখোশ খুলে যাওয়ায় গোটা কর্ণাটক স্তব্ধ (Karnataka)। আইনজীবী মঞ্জুনাথের মতে, সরকার হেল্পলাইন চালু করলেই আরও বহু পরিবার সাহস করে সামনে আসতে পারবে এবং সত্য উন্মোচনে সাহায্য করবে।