খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে (Kharagpur IIT) ফের এক মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যু ঘিরে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সোমবার রাতে হঠাৎই মৃত্যু হয় দ্বিতীয় বর্ষের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র চন্দ্রদীপ পাওয়ারের (Kharagpur IIT)। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা চন্দ্রদীপের এই আকস্মিক মৃত্যু আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল দেশের অন্যতম সেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে। ঠিক এক সপ্তাহ আগেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল আরেক পড়ুয়া রিতম মণ্ডলের দেহ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি মৃত্যু আইআইটির পরিবেশকে আরও বেশি অস্থির করে তুলল (Kharagpur IIT)।
পুলিশ সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে খাওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে একটি ওষুধ খান চন্দ্রদীপ। সেই ওষুধই সম্ভবত তাঁর শ্বাসনালিতে আটকে যায়। মুহূর্তে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় (Kharagpur IIT)। সহপাঠীরা তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যায় ক্যাম্পাসের ভিতরে অবস্থিত বি সি রায় কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
চন্দ্রদীপের পরিবারকে রাতেই খবর দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালেই পরিবারের সদস্যরা ক্যাম্পাসে পৌঁছন (Kharagpur IIT)। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশ মনে করছে, প্রতিবেদন হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ পরিষ্কার হবে। যদিও এখনই কোনও অসুস্থতা বা দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সমস্যার প্রমাণ মেলেনি।
চন্দ্রদীপের বন্ধুবান্ধব, সহপাঠীরা বলছেন, তিনি অত্যন্ত মেধাবী এবং শান্ত স্বভাবের ছিলেন। কোনওরকম মানসিক চাপে ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন সহপাঠীরা। তাই এই মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে গভীর ধোঁয়াশা।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত সাত মাসে খড়্গপুর আইআইটি-তে ছাত্রদের মৃত্যুর ঘটনা এই নিয়ে পাঁচে দাঁড়াল। আত্মহত্যা, অসুস্থতা, আর এখন এই ওষুধ সংক্রান্ত দুর্ঘটনা— একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা শোকস্তব্ধ করে দিচ্ছে পড়ুয়াদের, অভিভাবকদের এবং শিক্ষকদেরও। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্রদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে প্রতিষ্ঠান কতটা নজর দিচ্ছে, তা নিয়েও উঠছে বড় প্রশ্ন।