রাজ্যে নারী সুরক্ষা নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার অভিযোগের মাঝে যেন এক নতুন বার্তা নিয়ে হাজির হলেন দুর্গাপুরের পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের মহিলা ব্রিগেড (21 july)। তাঁদের বিশ্বাস—নারীরা এই রাজ্যে সম্পূর্ণ নিরাপদ, আর সেই নিরাপত্তার প্রতীক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (21 july)।
২১ জুলাই (21 july) শহিদ দিবসের সমাবেশে যোগ দিতে সবুজ শাড়ি পরে, হলুদ পাড়ে আঁকা মমতার মুখ বুকে ধারণ করে আজ ধর্মতলার পথে রওনা দিয়েছেন ওই এলাকার অসংখ্য মহিলা। তাঁরা(21 july) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, “দিদির আঁচলে আমরা নিরাপদ। আমাদের হৃদয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবার তাঁকে অঙ্গে ধারণ করলাম। বিজেপির একটাই কাজ—অপপ্রচার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মা-বোনেরা জানেন, এখানে তাঁরা কতটা সুরক্ষিত।”
এই বার্তা যথেষ্ট (21 july) তাৎপর্যপূর্ণ, বিশেষ করে তখন, যখন কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরের মাটি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মোদি দাবি করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও জায়গাতেই মহিলারা সুরক্ষিত নন—না কলেজে, না হাসপাতলে। কিন্তু সেই অভিযোগ যে বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খায় না, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন এই মহিলা ব্রিগেড।
আজকের দিনটা শুধু প্রতিবাদ নয়, আবেগ, শ্রদ্ধা আর রাজনৈতিক বার্তার দিনও বটে। ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের ঐতিহ্যবাহী শহিদ স্মরণ সভা। গোটা রাজ্যের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা রাত থেকেই জমায়েত করছেন সেখানে।
তাঁদের লক্ষ্য একটাই—শুনবেন ‘দিদি’ কী বলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার কী বার্তা দেবেন ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে? কী হবে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের রূপরেখা? সেই উত্তরের অপেক্ষায় তাকিয়ে রয়েছে গোটা সমাবেশ।
এই হাইভোল্টেজ সভাকে কেন্দ্র করে ধর্মতলা চত্বরে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে মাঠে-ময়দানে পুলিশের নজরদারি, সবকিছুই চলছে সর্বোচ্চ সতর্কতায়।
সময় যত গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে মানুষের ঢল। লাখো মানুষের সমাবেশে ঢেকে যাচ্ছে গোটা ধর্মতলা। আর সেই ভিড়ের মাঝেই মাথা উঁচু করে হাঁটছেন সবুজ শাড়ি পরা মমতার ছবি আঁকা মহিলারা—যাঁরা জানিয়ে দিচ্ছেন, “এই রাজ্যে নারী মানেই শক্তি, আর সেই শক্তির নাম—মমতা।”