Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ ২০ বছর কোমায়, শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন সময়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে — সৌদি ‘Sleeping Prince’ আর নেই!
বিদেশ

ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ ২০ বছর কোমায়, শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন সময়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে — সৌদি ‘Sleeping Prince’ আর নেই!

sleeping prince
Email :13

দীর্ঘ প্রায় দুই দশক কোমায় থাকার পর অবশেষে প্রয়াত হলেন সৌদি আরবের রাজপুত্র আল ওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল আল সৌদ (Sleeping Prince)। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। একসময়ের প্রাণবন্ত কিশোর, যার জীবন থমকে গিয়েছিল ২০০৫ সালে এক মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনার পর। সেই থেকেই বিশ্ববাসীর কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন “ঘুমন্ত রাজপুত্র” নামে (Sleeping Prince)।

প্রিন্স আল ওয়ালিদ ১৯৯০ সালের এপ্রিল মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন প্রিন্স খালেদ বিন তালাল আল সৌদের জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং সৌদি আরবের অন্যতম ধনকুবের প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালালের ভাইপো (Sleeping Prince)। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ব্রিটেনে মিলিটারি কলেজে পড়াশোনার সময় একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন তিনি। মাথায় আঘাত ও অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে তাঁর অবস্থা সংকটজনক হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন, কিন্তু তাতে কোনও সুফল মেলেনি। সেই থেকে তিনি কোমায় আচ্ছন্ন ছিলেন (Sleeping Prince)।

রিয়াদের কিং আব্দুল আজিজ মেডিকেল সিটিতে রাখা হয়েছিল তাঁকে, যেখানে টানা চিকিৎসা ও লাইফ সাপোর্টে প্রায় বিশ বছর কেটেছে তাঁর। প্রিন্স খালেদ কখনও তাঁর সন্তানের লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করার প্রস্তাবে সম্মত হননি, বরং বারবার আশাবাদী থেকেছেন যে একদিন অলৌকিক উপায়ে সুস্থ হয়ে উঠবেন ছেলে।

এই দুই দশকের মধ্যে একাধিকবার সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে কিছু ভিডিও, যেখানে দেখা গেছে কোমায় থাকা প্রিন্স অল্প করে আঙুল নাড়ছেন, যা তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের মনে ক্ষণিকের আশার আলো দেখিয়েছে। কিন্তু অবশেষে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে, সেই আশার প্রদীপ নিভে গেল চিরতরে।

প্রিন্স খালেদ নিজেই এক বিবৃতিতে ছেলের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে বলেন, “আল্লাহর ফয়সালা ও নিয়তির প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রেখে এবং গভীর বেদনা ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা আমাদের প্রিয় সন্তান প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল আল সৌদ-এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুন।”

বিশ্বজুড়ে ইসলামি সংগঠন ও সৌদি রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ মহল এই খবরে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। গ্লোবাল ইমামস কাউন্সিল তাদের বিবৃতিতে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং গোটা রাজপরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। তাঁরা উল্লেখ করেছেন, “প্রায় ২০ বছর ধরে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর জীবনের সঙ্গে কঠিন সংগ্রাম চালিয়ে গেলেন প্রিন্স আল ওয়ালিদ। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।”

আগামী রবিবার, ২০ জুলাই, আসরের নামাজের পর রিয়াদের ইমাম তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ মসজিদে প্রিন্সের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

একটা জীবনের অজস্র সম্ভাবনা আর স্বপ্ন আটকে পড়ে ছিল একটি দুর্ঘটনার মুহূর্তে। আজ সেই অধ্যায়ের ইতি ঘটল — আর সেই সঙ্গে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিল, জীবন কতটা অনিশ্চিত, আর সময় কতটা নির্মম!

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts