বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ফের ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা। সোমবার সকালে দ্বারকেশ্বর নদে (Dwarakeswar River) ভেসে উঠল এক ষাট বছরের মহিলার মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত দমদমা ফেরিঘাট এলাকায়। স্থানীয় নৌকার মাঝিরা প্রথম ওই মৃতদেহ নদীতে ভাসতে দেখে তড়িঘড়ি ঘাটের (Dwarakeswar River) ধারে এনে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে পাঠায় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম মালা শীট। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ার ওন্দা থানার আলিঠা গ্রামে (Dwarakeswar River)। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, স্নান করতে নেমেই নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যান তিনি এবং ডুবে মৃত্যু হয় (Dwarakeswar River)।
এই নিয়ে মাত্র এক মাসের মধ্যে দ্বারকেশ্বর নদে ডুবে মৃত্যু হল আটজনের। বর্ষা শুরুর পর থেকেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে নদী। টানা নিম্নচাপ এবং ভারী বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়ে দুকূল ছাপিয়ে বইছে নদীর স্রোত। বাঁকুড়ার বিভিন্ন নদীতে এমন মৃত্যুর ঘটনা যেন একের পর এক ভয়াবহ স্মৃতি হয়ে ফিরে আসছে।
কখনও স্নানের সময়, কখনও বা নদীপথে চলাফেরার সময় আচমকা পা পিছলে মৃত্যু — বাঁকুড়া জুড়ে এখন নদীর ধার মানেই আতঙ্ক!
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকাল সকাল ফেরিঘাটে প্রতিদিন যেভাবে যাতায়াত করেন বহু মানুষ, সেই সময়ই হঠাৎ মৃতদেহটি জলের স্রোতে ভেসে যেতে দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নৌকা চালকেরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে মৃতদেহটি পাড়ে নিয়ে আসেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত ঘটনাটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তবে সম্পূর্ণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।
নদীকে ঘিরে বাঁকুড়ায় যেভাবে মৃত্যু মিছিল চলছে, তাতে সচেতনতার অভাবের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকেও। আরও কত প্রাণ গেলে সাবধান হবে মানুষ? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে বিষ্ণুপুরের ঘাটে ঘাটে।