গাজায় চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মাঝেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) শুক্রবার ঘোষণা করেন, খুব শীঘ্রই আরও একটি দলকে মুক্তি দেবে হামাস। হোয়াইট হাউসে আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে ডিনার চলাকালীন ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমরা বেশিরভাগ বন্দিকে ফিরিয়ে এনেছি। এবার আরও ১০ জন আসছে খুব দ্রুত। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি সব কিছু শেষ করতে পারব।”
এসময় তিনি মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে এই আলোচনার জন্য কৃতিত্ব দেন। গত ৬ জুলাই থেকে দোহায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় যুক্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (Donald Trump)। এই আলোচনায় একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির খসড়া নিয়ে কাজ হচ্ছে—যেখানে দুই মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ধাপে ধাপে জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী (Donald Trump), দুই মাসের মধ্যে হামাস ফেরত দেবে ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দি এবং আরও ১৮ জনের মৃতদেহ। পাল্টা হিসেবে ইসরায়েল ছাড় দেবে অজানা সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিদের।
যদিও ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, “চুক্তি প্রায় সম্পন্ন”—তবুও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষর হয়নি। তবে শুক্রবার হামাসের এক শীর্ষ সামরিক মুখপাত্র বলেন, তারা “আন্তর্বর্তীকালীন যুদ্ধবিরতির” প্রস্তাব বিবেচনায় নিচ্ছে, তবে বর্তমান আলোচনায় অগ্রগতি না হলে তারা হয়তো “সম্পূর্ণ প্যাকেজ চুক্তি”র দাবিতে অনড় থাকবে।
এই যুদ্ধ ইতোমধ্যেই নিয়ে গেছে ভয়াবহ প্রাণহানি। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৮,৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, এযাবৎ তাদের ১,৬৫০ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১,২০০ জনই প্রাণ হারিয়েছেন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামাস হামলায়।
এই উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে, গাজা থেকে নতুন করে বন্দিদের মুক্তির খবর আবারও বিশ্ববাসীর কৌতূহল ও আশার কেন্দ্রে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে আদৌ কি আসবে চূড়ান্ত শান্তির দিন? নাকি এই আলোচনা আরও এক নতুন সংঘর্ষের দিকেই এগোচ্ছে? সময়ই বলবে।