ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা খালিস্তানি নেটওয়ার্কের (Khalistani Terrorist) বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল তদন্তকারী সংস্থা। ভারতে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল’ (BKI)-এর সঙ্গে যুক্ত কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী পবিত্তর সিংহ বাটালার প্রত্যার্পণের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গেছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বড়সড় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে পবিত্তর সিংহ বাটালাকে গ্রেফতার করে FBI। একই সঙ্গে আরও সাতজনকেও আটক করা হয়েছে (Khalistani Terrorist)।
ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) বহুদিন ধরেই পাঞ্জাবের এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার তথা সন্ত্রাসবাদীর সন্ধানে ছিল। পবিত্তর (Khalistani Terrorist)পাকিস্তানপন্থী খালিস্তানি সংগঠন BKI-এর সঙ্গে যুক্ত। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নগদ টাকা উদ্ধার করেছে মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর, যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংস্থার সমন্বিত অভিযানে এই সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে (Khalistani Terrorist)।
প্রসঙ্গত, বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল ইতিমধ্যেই ভারত, আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও মালয়েশিয়ায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য ভারতের পাঞ্জাবে ‘খালিস্তান’ নামে একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র গঠন করা (Khalistani Terrorist)।
এর আগেও, ‘হ্যাপি পাসিয়া’ নামে আরেক খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদীর প্রত্যার্পণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সূত্র জানায়। পবিত্তরের এই প্রত্যার্পণ যদি সফল হয়, তা হলে এটি হবে দ্বিতীয় বড় ঘটনা, যেখানে খালিস্তানি চক্রের সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হবে।
NIA ইতিমধ্যেই পবিত্তার এবং তার সহযোগী জতিন্দর সিং ওরফে জোতিকে পাঞ্জাবে বিস্ফোরণ চক্রান্ত মামলায় চার্জশিট করেছে। জোতি, পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার বাসিন্দা, যাকে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়। NIA-এর দাবি, মধ্যপ্রদেশ থেকে অবৈধভাবে অস্ত্র কিনে পাঞ্জাবে পাঠাত জোতি, যেগুলি পবিত্তরের গ্যাং ব্যবহার করত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে। এই চক্রের যোগসূত্র ছিল পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী লখনবীর সিং ওরফে লান্ডার সঙ্গে।
এই ঘটনার জেরে ১২ জুন, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার ১৫টি জায়গায় হানা দেয় এনআইএ। এর মধ্যে রয়েছে অমৃতসর, তারণ তারণ, ফিরোজপুর, পাঠানকোট, কপুরথলা, রূপনগর এবং হরিয়ানার সিরসা জেলা। এই তল্লাশি চালানো হয় অমৃতসরের একটি পুলিশ পোস্টে গ্রেনেড হামলার ঘটনার তদন্তে।
ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক প্রত্যার্পণ চুক্তির আওতায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এখন পবিত্তর বাটালার প্রত্যার্পণের চেষ্টায় ভারত সরকার। এই প্রত্যার্পণ সফল হলে তা হবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের বড়সড় কূটনৈতিক সাফল্য।