গ্রেটার নয়ডার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ঘর থেকে উদ্ধার হল দ্বিতীয় বর্ষের বিডিএস পড়ুয়া জ্যোতি শর্মার ঝুলন্ত দেহ (Student Suicide)। গুরগাঁওয়ের বাসিন্দা ২০ বছর বয়সী জ্যোতি শুক্রবার রাতে আত্মহত্যা করেন বলে অনুমান। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে (Student Suicide) লেখা রয়েছে মর্মান্তিক অভিযোগ—দুই অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মানসিক নির্যাতনের কারণে তিনি এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।
জ্যোতির লেখায় উঠে এসেছে অসহ্য মানসিক যন্ত্রণা, অপমান এবং দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নিপীড়নের কাহিনি। তাঁর শেষ (Student Suicide) চিঠিতে তিনি লেখেন, “আমি চাই ওরা জেলে যাক। ওরা আমাকে মানসিক ভাবে ভেঙে দিয়েছে, অপমান করেছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে এই চাপের মধ্যে রয়েছি। আমি চাই ওরা সেই একই যন্ত্রণা অনুভব করুক।”
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মীকে (Student Suicide) গ্রেফতার করেছে। অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার সুধীর কুমার জানিয়েছেন, “পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্টের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।”
এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। সহপাঠীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে (Student Suicide)। তাদের অভিযোগ, জ্যোতিকে নকল সইয়ের অভিযোগে বারবার হেনস্থা করা হচ্ছিল, যার চাপেই সে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা ডেন্টিস্ট্রি বিভাগের প্রধানকে ধাক্কা দিচ্ছেন।
সুধীর কুমার আরও জানান, মৃতার পরিবার ও ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভের কারণেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, এবং তদন্ত চলছে।