দিল্লির দ্বারকা এলাকায় ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর খুনের (Murder) ঘটনা। মাত্র ৩৫ বছর বয়সী করণ দেবকে নির্মমভাবে হত্যা করল তার স্ত্রী সুস্মিতা দেব এবং তারই জামাইবাবু তথা স্ত্রীর প্রেমিক রাহুল দেব। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পেছনে ছিল ঠাণ্ডা মাথায় সাজানো ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা, যা ফাঁস হয়ে গিয়েছে মোবাইল চ্যাটের মাধ্যমে (Murder)।
১৩ জুলাই করণের রহস্যজনক মৃত্যুর (Murder) পর থেকেই সন্দেহের ছায়া ঘনাতে শুরু করে। সুশ্মিতা জানান, তার স্বামী নাকি ইলেকট্রিক শকে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা করণকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু ঘটনার বর্ণনায় অসঙ্গতি দেখে পুলিশের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পোস্টমর্টেম করানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ, যদিও তা নিয়ে আপত্তি তোলে সুস্মিতা, রাহুল ও তার বাবা। এখান থেকেই বাড়তে থাকে করণের পরিবারের উদ্বেগ।
ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেয় করণের ছোট ভাই কুনাল (Murder) । সে সুস্মিতার ফোন থেকে এমন কিছু চ্যাট উদ্ধার করে যা প্রমাণ করে – করণের খুন ছিল পরিকল্পিত। চ্যাটে স্পষ্ট দেখা যায়, রাহুল সুস্মিতাকে নির্দেশ দিচ্ছে করণকে ওষুধ খাওয়াতে, সম্ভবত অজ্ঞান করার, এবং পরবর্তীতে ইলেকট্রিক শক দিয়ে খুন করতে (Murder) ।
প্রায় দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিল সুস্মিতা ও রাহুল। করণের পরিবার দাবি করেছে, খুনের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল করণের সম্পত্তির দখল নেওয়া এবং একসঙ্গে থাকার পথ পরিষ্কার করা।
এই লোমহর্ষক ষড়যন্ত্রের পর গ্রেফতার করা হয়েছে সুস্মিতা ও রাহুলকে। পুলিশ হেফাজতে রয়েছে তারা। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, খোঁজা হচ্ছে আরও তথ্যপ্রমাণ, যাতে পুরো ষড়যন্ত্রের জাল সামনে আনা যায়।













