Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • হাইকোর্টের চাপে ছাত্রভোট ফিরছে! কী প্ল্যান টিএমসিপি-র? রইল ভিতরের খবর
রাজ্য

হাইকোর্টের চাপে ছাত্রভোট ফিরছে! কী প্ল্যান টিএমসিপি-র? রইল ভিতরের খবর

TMCP
Email :8

পাঁচ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে? রাজ্যে ফের বেজে উঠল ছাত্রভোটের (Student Union) দামামা। কলকাতা হাইকোর্টের কড়া নির্দেশের পর রাজ্য প্রশাসন ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবার নড়েচড়ে বসেছে বলেই জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।

২০১৭ সালের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কোনও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন (Student Union) হয়নি। ২০২০ সালে শেষবার ছাত্র নির্বাচন হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Student Union)। তার পর থেকে টানা পাঁচ বছর কার্যত স্তব্ধ ছিল এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। সম্প্রতি কসবা আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়, এবং সেখান থেকেই নতুন করে ছাত্র রাজনীতির ও ছাত্রভোটের (Student Union) প্রাসঙ্গিকতা উঠে আসে আলোচনায়।

এই পরিস্থিতিতেই গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান আদালতে পেশ করতে হবে। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই জোরকদমে মাঠে নেমেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। সূত্র বলছে, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই জেলাওয়ারি রিপোর্ট তলব করেছে। ক্যামাক স্ট্রিটে জমা পড়েছে রাজ্যব্যাপী টিএমসিপি-র সংগঠনভিত্তিক স্টেটাস রিপোর্ট।

চলতি বছরের মধ্যেই ছাত্রভোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তার আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সংগঠন ঢেলে সাজাতে শুরু করেছে। আসন্ন ২৮ অগস্ট টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবস। তার আগেই রাজ্যের প্রতিটি কলেজে নতুন ইউনিট গঠনের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, কলেজ ইউনিটে এবার ছাত্রীদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদেরই সভাপতি বা সম্পাদক করা হবে। তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন। সেইসঙ্গে, প্রতিটি জেলায় একজন করে রাজ্য পর্যবেক্ষক (State Observer) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি যেসব ছাত্রনেতাদের নাম নানা বিতর্কে জড়িয়েছে, তাদের দ্রুত ইউনিট থেকে সরিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। মনোজিত-কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে আগাম সতর্ক হতে চাইছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

এই বিষয়ে টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “আমি অত্যন্ত খুশি। দীর্ঘদিন ধরে বলে এসেছি, ইউনিয়ন রুমের বাইরে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছে যেতে হবে। এবার সেই সুযোগ এসেছে। ছাত্রভোট হোক আজ, হোক কাল—আমরা তৈরি। রাজ্যের প্রতিটি কলেজে টিএমসিপি ভাল ফল করবে।”

অন্যদিকে, বিজেপির ছাত্রনেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা কটাক্ষ করে বলেছেন, “আসলে এটা লোকদেখানো ভোট। এতদিন যেভাবে অবৈধভাবে ইউনিয়ন রুমে তাণ্ডব চলত, এবার সেই তাণ্ডবকেই বৈধতা দেওয়া হবে।”

প্রসঙ্গত, শেষবার ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ২০২০ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নির্বাচন হয়। কিন্তু এরপর থেকে রাজ্যের কোনও কলেজে আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে সেই স্থবিরতা এবার ভাঙতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts