প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা শেষ হতেই শুরু হল রাজনৈতিক পাল্টা খোঁচা। এবার সরাসরি বিজেপির নীতি ও সাংস্কৃতিক অবস্থান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্ফোরক মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিজেপির কোনও নীতি নেই, তাই ওদের দেবতা দরকার হয়!”
এই একই দিনে শিঙাড়া-জিলিপি বিতর্কেও কেন্দ্রকে একহাত নেন কুণাল (Kunal Ghosh)। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, গণতান্ত্রিক দেশে কে কী খাবে, সেটা চাপিয়ে দেওয়া যায় না। এটা ব্যক্তির নিজস্ব স্বাধীনতার বিষয়, আর বিজেপি সেই স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চায় বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
কিন্তু সবথেকে বড় স্লোগান তৈরি হয়েছে মোদীর মঞ্চে ‘দুর্গা’ ও ‘কালী’-র নাম তোলাকে ঘিরে। কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা রামকে শ্রদ্ধা করি। রাম সংস্কৃতির প্রতীক। কিন্তু তৃণমূলের চাপে পড়ে এখন মোদী কালী কালী করছেন, এটা রাজনীতির সুযোগসন্ধান ছাড়া আর কিছুই নয়।” তাঁর দাবি, বিজেপির অন্দরেই এখন দ্বন্দ্ব— একপক্ষ ‘রামপন্থী’, অন্যপক্ষ ‘কালীপন্থী’। আর এই বিভাজনের শিকড় বাংলার মাটিতে, বাঙালি আবেগে সওয়ার হয়ে লাভ তোলার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।
এখানেই থামেননি কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের অবহেলার প্রসঙ্গ তুলে মোদীকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “বাংলাকে একটা পূর্ণমন্ত্রীও দেননি! রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছেন! এখন আবার মুখে বাঙালির অস্মিতা?”
এরই মধ্যে ফের একবার সামনে এসেছে সেই বিতর্কিত মুহূর্ত, যখন বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের অভিষেকের মঞ্চে কালীঘাটের কালীমার ছবি তুলে ধরা হয়েছিল। রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় তুমুল জল্পনা— তবে কি বিজেপির রাজনৈতিক কৌশলে বড়সড় বাঁক?
অন্যদিকে মোদী অবশ্য দাবি করেছেন, তৃণমূল যতই কটাক্ষ করুক না কেন, “বাংলার সংস্কৃতি ও অস্মিতা সুরক্ষিত বিজেপির হাতেই।”