পাকিস্তানে (Pakistan) এক আজব ও রীতিমতো চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে—দেশের নামকরা স্বাধীন সাংবাদিক ও ইউটিউবার আসাদ আলি তূরের সঙ্গে তোতাপাখি বিক্রির লেনদেন করায় সারাদেশজুড়ে একাধিক পাখি ব্যবসায়ীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হঠাৎ করেই ফ্রিজ করে দিয়েছে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (FIA)।
ঘটনার সূত্রপাত হয় এপ্রিল মাসে, যখন করাচির ২৯ বছর বয়সী পাখি বিক্রেতা রোযি খান একটি সাধারণ লেনদেনের পর তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে যান (Pakistan)। কিন্তু এটিএম থেকে আসে বার্তা: “Invalid bank account”। পরে ব্যাংক ম্যানেজার জানান, ১০ এপ্রিল FIA-এর নির্দেশে তাঁর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।
রোযি খান হতবাক হয়ে বলেন, “আমি তো পাখি বিক্রি করি, কাকে বিক্রি করছি সেটা নিয়ে তো কখনও ভাবিনি। কে জানতো একজন সাংবাদিককে তোতাপাখি বিক্রি করলেই এমন বিপদ হবে!”
কিন্তু শুধু রোযিই (Pakistan) নন, লাহোর, সারগোধা, রাওয়ালপিন্ডি-সহ বহু শহরের পাখি বিক্রেতারা এমন বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন, যাঁরা কোনো না কোনোভাবে আসাদ আলি তূরের সঙ্গে লেনদেনে যুক্ত ছিলেন।
৬০ বছর বয়সী লাহোরের ব্যবসায়ী নাদিম নাসির (Pakistan) জানান, তাঁর চেক আচমকা বাউন্স করে যায়, পরে জানতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ। তিনি বলেন, “আমি আসাদের সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে পরিচিত, কিন্তু শেষবার সে তোতাপাখি কিনেছে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের শুরুতে। তারপর তো কোনো লেনদেনই হয়নি।”
আসাদ আলি তূর নিজে একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার (Pakistan) ও সরকারবিরোধী কণ্ঠস্বর, যাঁর চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার ৩ লক্ষ ৩৫ হাজারেরও বেশি। তাঁর তোতাপাখির প্রতি ভালোবাসা অনেকেরই জানা, যার পেছনে তিনি মাসে ৫০,০০০ রুপি পর্যন্ত খরচ করেন।
তূরের (Pakistan) দাবি, শুধু তাঁর নয়, এমনকি তাঁর ভাই, বাবা-মা এবং কাজিনের অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয়, যাঁরা তাঁর কাছে তোতাপাখি বিক্রি করেছেন, তাঁদেরও একই পরিণতি হয়েছে।
“এটা কেবল আমার বিরুদ্ধে নয়,” তূর বলেন, “যাঁরা শুধু তোতাপাখি বিক্রি করেছেন, তাঁদেরকেও যেন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে! এটা সম্পূর্ণ পাগলামি।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ঘটনায় এখনো FIA বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি (Pakistan) কিংবা চার্জ গঠন করেনি।
এমনকি চলতি বছরের শুরুতে আসাদের ইউটিউব চ্যানেলসহ (Pakistan) আরও ২৬টি চ্যানেল ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কনটেন্টের অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে মাত্র দুই দিনের মধ্যেই সেশন কোর্ট সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়।
এই ঘটনায় এখন প্রশ্ন উঠছে—পাকিস্তানে এখন কি তোতাপাখি বিক্রিও রাষ্ট্রদ্রোহ?