যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় ইউ-ভিসা সংক্রান্ত ভয়াবহ এক জালিয়াতি চক্রের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত (Indian Origin) রেস্তোরাঁ মালিক, চন্দ্রকান্ত ওরফে ‘লালা’ প্যাটেল। প্রায় এক দশক ধরে চলা এই ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন চার জন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা—এর মধ্যে তিনজনই লুইজিয়ানার ছোট শহরের পুলিশ প্রধান (Indian Origin)।
এই ঘটনায় ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি ইতিমধ্যেই ৬২টি ফৌজদারি অভিযোগ এনেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে, যার মধ্যে রয়েছে ভিসা জালিয়াতি, ঘুষ গ্রহণ, ভুয়া নথি ডাকযোগে পাঠানো এবং অর্থ পাচারের মতো গুরুতর অপরাধ (Indian Origin)।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, প্যাটেল (Indian Origin) অবৈধ অভিবাসীদের কাছে কয়েক হাজার ডলার ঘুষ নিয়ে তাদের নাম পুলিশ রিপোর্টে ‘সশস্ত্র ডাকাতির শিকার’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করাতেন। এরপর সেই জাল রিপোর্ট ব্যবহার করে তারা ইউ-ভিসার আবেদন করতেন।
এই বিশেষ ভিসাটি যুক্তরাষ্ট্রে (Indian Origin) শুধুমাত্র সেইসব অভিবাসীদের জন্য বরাদ্দ, যারা অপরাধের শিকার হয়ে পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে সহায়তা করে। অথচ এসব ‘সশস্ত্র ডাকাতি’ আসলে কখনো ঘটেনি বলেই তদন্তে উঠে এসেছে।
লুইজিয়ানার ইউএস অ্যাটর্নি আলেকজান্ডার সি ভ্যান হুক এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রতিটি ভুয়া রিপোর্টের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা ৫ হাজার ডলার করে ঘুষ পেতেন এবং এভাবে ‘শত শত’ ভিসা জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।
চন্দ্রকান্ত প্যাটেল (Indian Origin) সম্প্রতি র্যাপিডস প্যারিশ শেরিফ অফিসের এক সদস্যকেও ৫ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন, যাতে একটি জাল রিপোর্ট তৈরি করা যায় বলে জানিয়েছে স্থানীয় টিভি চ্যানেল WBRZ 2।
এই তদন্ত শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালে, যখন ইউএস ইমিগ্রেশন সার্ভিসের পক্ষ থেকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনসে একটি অভিযোগ পাঠানো হয়। তদন্তে উঠে আসে যে, প্যাটেল নিজে অথবা তার পরিচিত কেউ সরাসরি অভিবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করত। এরপর সহ-ষড়যন্ত্রকারী পুলিশ কর্মকর্তারা ভুয়া অপরাধের রিপোর্ট তৈরি করতেন এবং সেইসঙ্গে USCIS-এর ফর্ম I-918B-তে মিথ্যা শংসাপত্র দিতেন।
এই প্রতারণামূলক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল ডিসেম্বর ২০১৫ সালে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন: ওকলেড শহরের পুলিশ প্রধান চ্যাড ডয়েল, ফরেস্ট হিলের পুলিশ প্রধান গ্লিন ডিক্সন, গ্লেনমোরার প্রাক্তন পুলিশ প্রধান তেবো ওনিশিয়া, এবং ওকলেডের মার্শাল মাইকেল ‘ফ্রেক’ স্ল্যানি।
ফেডারেল আইন অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত হলে এই অভিযুক্তদের বহু বছর কিংবা কয়েক দশকের কারাদণ্ড হতে পারে।