পাকিস্তান (Pakistan) ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে চাপে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে ২৬ নিরীহ মানুষের মৃত্যুর দায় স্বীকার করার পর, যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দফতর ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)-কে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও বিশ্বসন্ত্রাসী (SDGT) হিসাবে ঘোষণা করেছে। এই TRF আসলে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (LeT)-র ছায়া সংগঠন বলেই পরিচিত।
যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তকে জানিয়ে বলেছে—এটি ছিল ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতের বুকে সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা (Pakistan) । TRF সরাসরি এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ভারত এই ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও, ইসলামাবাদ (Pakistan) তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন সিদ্ধান্তকে আক্রমণ করেছে।
পাকিস্তান দাবি করেছে, লস্কর-ই-তইবা একটি নিষ্ক্রিয় সংগঠন (Pakistan) , যা বহু আগেই পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একটি বিবৃতিতে পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, “আমরা এসব সংগঠনকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছি, তাদের নেতাদের গ্রেফতার করেছি এবং সদস্যদের ডি-র্যাডিকালাইজ করেছি।”
তবে এখানেই থেমে থাকেনি ইসলামাবাদ (Pakistan) । তারা ভারতের বিরুদ্ধে ‘আন্তর্জাতিক মঞ্চকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার’ অভিযোগ এনেছে। পাকিস্তানের দাবি—“ভারত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তানকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।”
এছাড়াও পাকিস্তান নিজেকে “সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন রাষ্ট্র” বলে দাবি করে জানিয়েছে, তারা বিশ্বশান্তির জন্য বহু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে “বৈষম্যহীন ও নিরপেক্ষ নীতি” গ্রহণের আহ্বান জানায়।
এই আবহে, পাকিস্তান নিজেই আবার বালোচিস্তানে বাড়তে থাকা বিদ্রোহী হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বালোচ লিবারেশন আর্মি (BLA)-র ‘মাজিদ ব্রিগেড’-এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের দাবিও তুলেছে।
এদিকে, চীন এই ঘটনায় সরাসরি পক্ষ না নিয়ে কৌশলী মন্তব্য করে বলেছে, “আঞ্চলিক দেশগুলিকে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে।” উল্লেখ্য, চীন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসাবে অতীতে বহুবার পাকিস্তানকে জঙ্গি ইস্যুতে রক্ষা করেছে।
ভারত এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের ১২৬৭ স্যাংশন কমিটি-তে TRF ও লস্কর-ই-তইবা-র বিরুদ্ধে আরও কঠোর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের দাবি তোলার পরিকল্পনা করছে।