ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলার অভুজমাড় জঙ্গলে মাওবাদীদের (Maoists) বিরুদ্ধে বড়সড় আক্রমণে চমকপ্রদ সাফল্য পেল যৌথ বাহিনী। গুলির লড়াই এখনও চলছে, এর মধ্যেই নিরাপত্তাবাহিনী ছ’জন মাওবাদীর(Maoists) দেহ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার দুপুরে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে টানা গুলি বিনিময় চলছে।
নিরাপত্তা বাহিনী নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামে। খবর ছিল, অভুজমাড় অঞ্চলে গোপনে জড়ো হয়েছে মাওবাদীরা। সেইমতো যৌথবাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে সার্চ অপারেশন শুরু (Maoists) করে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় গুলির লড়াই। এখনও পর্যন্ত ছয়জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।
সেনা সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একে-৪৭ ও এসএলআর রাইফেলের মতো ভারী আগ্নেয়াস্ত্র (Maoists)। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে একাধিক বিস্ফোরক ও দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্র। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের পরিমাণ এবং গুলির তীব্রতা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, বহু সংখ্যক মাওবাদী ওই অঞ্চলে জড়ো হয়েছিল।
এই অভিযানের মাত্র কয়েকদিন আগেই ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সেখানে নিহত হয়েছিলেন মাওবাদী শীর্ষ নেতা সোধি কান্না, যার মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারত থেকে নকশাল সমস্যার সম্পূর্ণ অবসান ঘটানো হবে। তাঁর দাবি, নকশাল-সন্ত্রাস বহু বছর ধরে দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করেছে। সেই কারণেই দেশজুড়ে একের পর এক অভিযান চলছে এই রেড করিডরে।
বর্তমানে অভুজমাড় অঞ্চলের পরিস্থিতি উত্তপ্ত, এবং যৌথবাহিনী তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গোটা এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।