Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • আবার পাকিস্তানেই মাসুদ আজহার! গিলগিটে লুকিয়ে আছে ভারতের কুখ্যাত শত্রু
বিদেশ

আবার পাকিস্তানেই মাসুদ আজহার! গিলগিটে লুকিয়ে আছে ভারতের কুখ্যাত শত্রু

masood azhar
Email :22

ভারতের কুখ্যাত মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি এবং জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার (Masood Azhar) বর্তমানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তানের স্কারদু এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে—এমনই চাঞ্চল্যকর গোয়েন্দা তথ্য হাতে পেয়েছে ভারত। এই এলাকা তার পুরনো ঘাঁটি বাহাওয়ালপুর থেকে প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার দূরে (Masood Azhar)।

বিশেষভাবে নজরে এসেছে স্কারদুর সদপারা রোড অঞ্চল। সেখানকার অন্তত দুটি মসজিদ, সংযুক্ত মাদ্রাসা এবং একাধিক সরকারি ও বেসরকারি গেস্ট হাউস রয়েছে, যেখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে (Masood Azhar)। এই শান্ত প্রকৃতি আর কম প্রোফাইলের পরিবেশেই আপাতত আত্মগোপন করে রয়েছে রাষ্ট্রসংঘে নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠনের নেতা (Masood Azhar)।

এই খবর সামনে এসেছে এমন এক সময়ে, যখন সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি দাবি করেছিলেন যে মাসুদ আজহার আফগানিস্তানে থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, যদি প্রমাণ হয় আজহার পাকিস্তানের মাটিতে রয়েছে, তাহলে তাঁকে ভারতকে হস্তান্তর করতেও তারা প্রস্তুত।

উল্লেখযোগ্যভাবে, মাসুদ আজহার ২০১৬ সালের পাঠানকোট বিমানঘাঁটি হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার মূলচক্রী। পুলওয়ামা হামলায় শহিদ হন ৪০ জনের বেশি ভারতীয় জওয়ান।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছে আজহারের গতিবিধির উপর। যদিও জইশ-এর পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে—পুরনো অডিও ক্লিপ ব্যবহার করে দেখানো হচ্ছে, সে এখনও বাহাওয়ালপুরেই অবস্থান করছে।

বাহাওয়ালপুরে আজহারের দুটি পরিচিত ঘাঁটি রয়েছে—জামিয়া সুবহান আল্লাহ (যা ভারতের অপারেশন ‘সিন্দুর’ চলাকালে লক্ষ্যবস্তু ছিল) এবং জামিয়া উসমান ও আলি নামে একটি মসজিদ। এই মসজিদের কাছেই রয়েছে আজহারের পুরনো বাড়ি এবং একটি হাসপাতাল। ভারতের হামলায় আজহারের ১০ জন পরিবারের সদস্যও নিহত হন বলে খবর।

বিশ্বের একাধিক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন ভারত, আমেরিকা এবং রাষ্ট্রসংঘ তাকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, একসময় আজহার ভারতের জেলে বন্দি ছিল, কিন্তু তার সংগঠনের লোকজন একটি বিমান ছিনতাই করে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই জন্ম নেয় জইশ-ই-মহম্মদ।

২০১৯ সালে বালাকোটে ভারতের বিমান হামলার পরেও তাকে বাহাওয়ালপুর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পেশোয়ারের এক গোপন আশ্রয়ে।

তবে মাসুদ আজহারই একমাত্র নয়, যে পাকিস্তানে নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছে। হিজবুল মুজাহিদীনের প্রধান সাঈদ সালাহউদ্দিনও ইসলামাবাদের বিলাসবহুল এলাকায় রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্য। এমনকি বর্মা টাউনের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় তার অফিস পর্যন্ত রয়েছে, যেখানে তাকে সশস্ত্র দেহরক্ষীদের সঙ্গে প্রায়ই দেখা যায়।

এইসব তথ্য ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, কিভাবে পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে চলেছে, আর বিশ্বের চোখে ধুলো দিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ভান করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts